এবছর পুজোর মরশুমে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গি। মহালয়া থেকে দশমী পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৯,০০০ মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তা🌠 নিয়ে অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে পুরসভাগুলি। কলকাতাতেও পুজোর মরশুমে ডেঙ্গি বেড়েছে। পুজো শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন খোলা হচ্ছে মণ্ডপগুলি। সাধারণত মণ্ডপ তৈরির জন্য গর্ত করা হয়ে থাকে। পুজো উদ্যোক্তাদের তা বুজিয়ে দিতে বলল কলকাতা পুরসভা। এর পাশাপাশি পুজোর সময় যে সমস্ত বিজ্ঞাপনগুলি দেওয়া হয়েছিল সেগুলিও দ্রুত খুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: গার্ডেন𓄧র🃏িচ,মেটিয়াবুরুজে ডেঙ্গি রোধে ইমামদের দিয়ে সচেতনতায় জোর পুরসভার
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, মণ্ডপের খুঁটি বসানোর জন্য গর্ত তৈরি করা হয়। তবে বৃষ্টি হলেই সেখানে জল জমে ডেঙ্গি মশার লার্ভা বংশবিস্তার না করতে পারে। এর ফলে আশেপাশের মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে পারেন। সেই কারণে পুরসভার তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনও খুঁটি থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেই কারণে খুঁটিও ত💃ুলে ফেলতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে মাসুদ দাড়ি বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, কালিপুজো পর্যন্ত ডেঙ্গি নিধনে পুরসভার তরফে অভিযান চালানো হবে। অন্যদিকে, কলকাতা পুরসভা, রেড রোডে কার্নিভালকে ঘিরে যে বিজ্ঞাপনী ব্যানার এবং হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল তা খুলে ফেলতে বলেছে। এর জন্য পুজো কমিটিগুলির কাছে কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে পুরসভা। এছাড়া, শহরের সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের পুজোর ব্যানার, হোর্ডিং সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সে ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। এই সময়ের মধ্যে সেগুলি সরানো না হলে শাস্তিমূলক ব্যবহার করবে পুরসভা। সে ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকে এমনকী পূজা উদ্যোক্তাদের জরিমানা করা হতে পারে।
পুরসভার কমিশনার দ্বারা জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প﷽ুজো শেষ হয়ে গেলেও ব্যানার এবং ফ্লেক্সগুলি এখনও রাস্তা এবং ফুটপাতে রয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ফ্লেক্সগুলো অপসারণ না করা হলে সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, বাঁশের কাঠামোগুলি অপসারণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিজ্ঞাপন সরানো না হলে কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ পুর আইনের ২০৩(৮) ধারায় জরিমানা করবে।