এবছর রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গি। যার মধ্যে রাজ্যের পুরসভা এলাকাগুলিতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পুজোর মধ্যে আবা🅘র নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। কলকাতাতে অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কলকাতার ১০ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পাশাপাশি ১৫ নম্বর বোরো এলাকার গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজে এবার ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। অন্যান্য বছরগুলিতে এই এলাকায় খুব বেশি ডেঙ্গি হয়নি। তবে এবার ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দেওয়ায় এলাকার মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে ইমামদের কাজে লাগাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গিতে গতবারের রেকর্ড ভেঙে ফেলল বাং🤡লা, ল🦩াখের দিকে ছুটছে আক্রান্তের সংখ্যা
সাধারণত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় ইমামদের কথাকে অনেকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সেই কারণে মানুষকে সচেতন করতে ইমামদের সাহায্য নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এ ক্ষেত্রে ইমামরা বোঝালে সাধারণ মানুষ সতর্ক হবেন বলেই পুরসভার আধিকারিকরা মনে করছেন। ১৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, ইমামরা মসজিদে নামাজ শেষে মানুষদের সতর্ক করার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি গিয়ে এলাকা পরিষ্কার রাখার জন🧸্য মানুষকে সতর্ক করছেন। পাশাপাশি বাড়িতে যাতে জল না জমে সে বিষয়ে সতর্ক করছেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বোরোর তিনটি ওয়ার্ড মিলিয়ে ৬০০ এর বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। ওই এলাকায় সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভা।
পুর আধিকারিকদের মতে, ওই এলাকায় অনেক মানুষই রয়েছেন যারা হাতুড়ে ডাক্তারের উপরে বেশি ভরসা করে থাকেন। তাছাড়া অ💧নেকে আবার ওষুধ খেতে গিয়েও অনীহা করেন। অতীতে দেখা গিয়েছিল, পোলিও টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গিয়েছিল ওই এলাকায়। সেক্ষেত্রে ইমামদের কাজে লাগানো হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে মশাবাহিত রোগ নিয়ে ইমামদের সতর্ক করা হচ্ছে। সেই মতো তাঁরা মানুষদের সর্তক ও সচেতন করছেন। এদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে আর কিছুদিনের মধ্যে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। তারফলে মশাবাহিত রোগের প্রকোপও কমবে। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কমবে।