হকার সরিয়ে আমজনতার চলার পথ তৈরি করার শপথ নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তাই সব হকারকে একসারিতে এনে গোটা ফুটপাথ দখল করে রাখার যে বিষয়টি সেটা থেকে মুক্তি দিতে চেয়েছিল কলকাতা পুরসভা। কিন্তু সরষের মধ্যেই ভূত দেখতে পেলেন কলকাতা পুরসভা𓆉র অফিসাররা। এদিন দুপুরে 🍎লেক মার্কেট লাগোয়া রাস্তার ফুটপাথে হকারদের একসারিতে বসাতে গিয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু যা দেখলেন তাতে চোখ কপালে উঠেছে। হকাররা ছাড়াও ফুটপাথের একাংশ দখল করে রেখেছেন ওই এলাকার একাধিক স্থায়ী দোকানদাররা। এই দোকানদাররা দোকানেও ব্যবসা করেন, আবার বাইরে ফুটপাথ দখলও করেও পসরা সাজিয়ে রেখে বেচাকেনা করেন।
এই বিষয়টি দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন কলকাতা পুরসভার অফিসাররা। আর কোনও বিলম্ব না করে🌳 তৎক্ষণাৎ পুরসভার൩ অফিসাররা নির্দেশ দেন দোকানদারদের। অবিলম্বে ওই দোকানদারদের জিনিসপত্র দোকানের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। তাতে বেশ বিপাকে পড়ে যান দোকানদাররা। এমনটা যে হবে তাঁরা কল্পনাও করেননি। তাঁরা মনে করেছিলেন, যেমন চলছে তেমনই চলবে। কিন্তু ফুটপাথ পথচারীদের জন্য। সেটা পুরো দখল করে রাখা যাবে না। হাঁটার জায়গা ছেড়ে দোকান দিতে হবে। দোকানদারদের এই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়, ফুটপাথে কিছু রাখা যাবে না। এই অভিযানে ছিলেন কলকাতা পুরসভার উদ্যান ও পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ তথা রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
এদিকে লেক মার্কেট এলাকার বেশিরভাগ ফুটপাথ চলে গিয়েছে হকারদের দখলে। তাই সাধারণ মানুষ সেখান দিয়ে হাঁটাচলা করতে অসুবিধায় পড়তেন। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা পুরসভায় নালিশ জমা পড়ে। আবার বেশ কিছু নাগরিক এই সমস্যা নিয়ে টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে অভিযোগ জানান। তাই কলকাতা পুরসভার অফিসাররা একেবারে লক্ষ্মণরেখা কেটে হক💖ারদের একসারিতে বসার ব্যবস্থা করেন। প্রায় ২৫০ হকারকে একসারিতে বসানো হয়। পুরসভার অফিসাররা জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হকারদের একসারিতে বসানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বড়বাজার, বউবাজার, শিয়ালদার মতো ব্যস্ত এলাকাতেও কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: ‘এই নির্দ🥂েশ ভুল বার্তা দিচ্ছে’, মেয়েদের যৌন ইচ্ছা নিয়ন্ত্রণ মামলায় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার সূত্রে খবর, যে সব এলাকায় স্থায়ী দোকানদাররা তাঁদের পসরা ফুটপাথে সাজিয়ে দখল করে রাখবেন, তাঁদের প্রথমে সতর্ক করা হবে। আরও একবার বুঝিয়ে সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু বারবার কথা না শুনে ফুটপাত দখল করে রাখলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র প🌠ারিষদ সদস্য তথা রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশিস কুমার বলেন,‘কলকাতার ফুটপাথে হকার নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পরিষ্কার গাইডলাইন রয়েছে। আমরা তা মেনেই কাজ করছি। তাই এক্ষেত্রে কোনও আপস করা যাবে না।’