কয়েকদিন আগে কলকাতা পুরসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলর ও সদস্যদের হেনস্তা করেছিল বিরোধী দল বিজেপি বলে অভিযোগ💙। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির কাউন্সিলরদের মধ্যে তুমুল ধস্তাধস্তি সবাই দেখেছিল। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তাতে জড়িয়ে পড়ে শাসকদলের কাউন্সিলরদের গায়ে হাত দেয় বলে অভিযোগ। কলকাতা পুরসভায় এই নজিরবিহীন ঘটনার পর এবার নয়া নির্দেশিকা জারি𒁃 করল পুরসভা কর্তৃপক্ষ। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতা পুরসভার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। এবার আর একটি নির্দেশিকা জারি হল।
এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বাইরে বসে থাকতে হবে বলেই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এবার কাউন্সিলর্স ক্লাব রুমে সহজে প্রবেশ করা যাবে না। সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। কলকাতা পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার একটি🐓 বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সোমবার সেই বিবৃতিতে এমন কথাই লেখা রয়েছে। সুতরাং এখন সেখানে ইচ্ছে হলেই সাংবাদিক বৈঠক করা যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঢুকতে পরবেন না। অপরিচিত এবং নির্বাচিত নন এমনই কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র নির্বাচিত কাউন্সিলররাই সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন।
আর কী লেখা আছে বিজ্ঞপ্তিতে? অন্যদিকে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাউন্সিলর্স ক্লাব রুমে কোনও বহিরাগত সাংবাদিক বৈঠক করতে পারবেন না। কাউন্সিলর্স ক্লাব রুমে একমাত্র কাউন্সিলর বা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, পুরসভার অফিসার এবং কর্মী প্রবেশ করতে পারবেন। বাকিদের ক্ষেত্রে ই–গেট পাস করতে হবে। তাও আবার কলকাতা পুরনিগমের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কারণ জানাতে হবে। তারপর আবেদন করতে হবে। 💧সেখান থেকে সম্মতি মিললে তবেই কাউন্সিলর্স ক্লাবরুমে প্রবেশ করা যাবে। ৮৩৩৫৯৯৯১১১ নম্বরে আবেদন করতে হবে ই–গেট পাসের জন্য।
আরও পড়ুন: বালি ব্রিজ উড়িয়ে 🌳দেওয়ার ছক কষেছিল𝄹 পাকিস্তান, পাক চরকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
আর কী জানা যাচ্ছে? এমনকী কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি ডেকে পাঠান তাহলে কে ডাকছেন সেটাও জানাতে হবে। কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে বৈঠকে বসে এই বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, বহিরাগতদের আনাগোনা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত🌟 নেওয়া হয়েছে। সবটাই কলকাতা পুরসভার কমিশনার নির্দিষ্ট করে তাঁর বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন। আর তাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন বিরোধী কাউন্সিলররা। এখন তাঁরা নিজেরা আসতে পারলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বাইরে রেখেই আসতে হবে।