রাজ্যে বিধি নিষেধ জারির পরে করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজারের বেশি মানুষ। অথচ কিছুদিন আগেই দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। ফলে সংক্রমণ কমায় আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। মহানগর কলকাতাতে কিছুদিন আগে এই করোনা সংক্রমণ যেখানে দৈনিক ৭ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন তা কমে ১৮০০ হয়েছে। তাতে কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে কমেছে ঠিকই। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে যে কয়েকটি বোরো এলাকায় সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখন এই বোরোএলাকাগুলি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুর আধিকারিকদের কাছে। এই সমস্যার মোকাবিলায় আগামী বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভা সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ৮ এবং ১০ নম্বর বোরোতে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বোরোগুলোতেও সংক্রমণ ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে।পুর আধিকারিকদের মতে, এইসমস্ত বোরোর মানুষজন জ্বর এলেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ প্যারাসিটামল খেয়েই দিব্যি চালিয়ে দিচ্ছেন। উপসর্গ থাকলেও অধিকাংশ মানুষ করোনা পরীক্ষা করছেন না। ফলে তাদের করোনা ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে বহু মানুষ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যার জেরে তাদের সংস্পর্শে এসে অন্যান্য মানুষদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।সেই কথা মাথায় রেখেই ওই বড় এলাকাগুলিতে আগামী দিনে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে পুরসভার আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট বোরোতে বৈঠক করবেন। পুর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এই সমস্ত বেরোগুলিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, 'কলকাতার বেশ কিছু বোরোতে সংক্রমণ বেলাগাম হয়ে বাড়ছে। আমরা তার দিকে নজর রেখেছি।'জানা যাচ্ছে, বৈঠকে স্থানীয় বোরো আবাসিক কমিটির প্রতিনিধিদেরও যোগদান করতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আবাসিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি নিয়ে তাদের কাছে অনুরোধ করা হতে পারে।