এবার রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সরকারি স্কুলে শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য স্কুলের পরিকাঠামো উন্নত করা প্রয়োজন বলে মনে করে আদালত। এখন শিক♐্ষক–শিক্ষিকারা কাছের স্কুলে বদলি হচ্ছেন। তাতে পড়ুয়াদে🐓র সমস্যা হচ্ছে। এটা উপলব্ধি করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করা হচ্ছে না। উলটে অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষার মান উন্নয়ন করা উচিত। শিক্ষকদের বদলির পরিবর্তে স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে হবে শিক্ষা দফতরকে।’
শিক্ষা দফতরকে স্কুলের পরিকাঠামো উন্নতির কথা বলার অর্থ–শৌচালয়, পানীয় জল, পরিবেশ–সহ নানা বিষয়ের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে। হাওড়ার এক হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষিকা বাসবী সামন্ত সম্প্রতি বাড়ির কাছের স্কুলে বদলি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন। তখন সংশ্লিষ্ট স্কুল কেমন চলছে প্রধানশিক্ষিকা তনিমা পাত্র দাসের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়। সেই রিপোর্টে দেখা যায়, ওই হাইস্কুলে মোট ছাত্রীর সংখ্যা ৫৮৫ জন। সেখানে কমপক্ষে ১৫ জন শিক্ষক থাকার কথা। আছে ৮💯 জন শিক্ষক। তাতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।
ঠিক কী বললেন বিচারপতি? এই পরিস্থিতি দেখেই শিক্ষার মান উন্নয়নের কথা বলেন বিচারপতি। এই নিয়ে ব🐻িচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বলেন, ‘এটা ভাবতে অবাক লাগে এই স্কুলের ছাত্রীদের ইতিহাস পড়াবেন কে? সম্প্রতি এই স্কুল থেকে চারজন শিক্ষিকা বদলি হয়ে অন্য স্কুলে গিয়েছেন। আর সেই বদলিতে ছাড়পত্র দিয়েছে শিক্ষা দফতꦅর। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হতে পারে।’
আর পরিকাঠামো নিয়ে কী বলেছেন? স্কুলের প্রধানশিক্ষিকার কাছে সেখানের পরিকাঠামো জানতে চান কলকাতা হাইকোর্ট💎ের বিচারপতি। সেই রিপোর্টে তিনি দেখেন, পড়ুয়াদেꩵর জন্য পানীয় জল এবং শৌচালয় আছে। তবে তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত। তখন বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘এটা তো মেয়েদের স্কুল। এখানে কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই? কেন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ক꧃রা হয়নি? অন্তত এই স্কুলগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা হো🌱ক। করুণ অবস্থা থেকে সরকারি স্কুলকে ফেরাতে হবেই।’
আর সব শেষে বদলি নিয়ে তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। ইতিহাসের শিক্ষিকার বদলির আবেদন খারিজ করেন তিনি। তখনই রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘উৎসশ্রী পোর্টালের অব্যবহার রুখতে হবে। শিক্ষকের থেকে বেশি চিন্তা করতে হবে পড়ুয়াদের জন্য। যে সব স্কুলে পড়ুয়া কম সেখান থেকে শিক্ষকদের সরিয়💧ে নিয়ে যেতে হবে। অঙ্ক না শিখিয়েই বড় হচ্ছে বাচ্চারা।’