নাগেরবাজার এলাকায় যশোর রোডে অবস্থিত এক কাখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। জানা গিয়েছে, যে কারখানায় আগুন লেগেছে, সেখানে গেঞ্জি তৈরি হয়। এই আবহে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছে ২০টি ফায়ার ব্রিগেড ইঞ্জিন। এদিকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। বৃষ্টিভেজা সকালেও এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে তাই কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। এদিকে কারখানায় কোনও কর্মী আটকে নেই বলেই জানিয়েছে দমকল কর্তৃপক্ষ। এই আবহে আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও প্রাণহানীর কোনও ঘটনা ঘটেনি এই অগ্নিকাণ্ডে। সেই কারখানার সকল কর্মীকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। (আরও পড়ুন: কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, হচ্ജছে বৃষ্টি, আজ সারাদিনে কলকাতার আবহাওয়া ☂থাকবে কেমন?)
আরও পড়ুন: ১১৯ দিন পর ফের 'আনলাক♊ি' সরকারি কর্মীরা? ১৩-র ফাঁড়া কাটবে কি, বাতলে দেবে '৬০'
রিপোর্ট অনুযায়ী, নাগেরবাজারে সরোজিনী নাইডু কলেজের ঠিক পাশেই অবস্থিত এই গেঞ্জি কারখানাটি। সেই কারখানার পাশে আবার বেসরকারি আইসক্রিম সংস্থার গুদাম রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, সেই গুদাম থেকেই আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে। গভীর রাতে সেই গুদামের এসি থেকেই প্রথমে বিকট আওয়াজ হয়েছিল। পরে গেঞ্জি কারখানায় আগুন লক্ষ্য করা যায়। ভোররাতে দমকলকে খবর দেওয়া হয়। কারখানার কর্মীরা যাঁরা রাতে কাজ করছিলেন, তাঁরাই প্রথম আগুন দেখতে পান। এরপর প্রায় ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ সেখানে পৌঁছায় দমকল। ক্রমেই সেখানে ২০টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়। বৃষ্টিতেও সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়েছে। (আরও পড়ুন: নেপালে ভয়াবহ ভূমিধস, ত্রিশূলি নদীতে ভেসে গেল ২টি বা🌳স, নিখোঁজ ৬৩ জন যাত্রী)
আরও পড়ুন: 'নতুন পিচে খেলা হবে', সুপ্রিম কোর্টের বকেয়া ডিএ মꦯামলায় এল বড় পরিবর্তন
প্রায় ৫ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দাউ দাউ করে লেলিহান শিখা গ্রাস করছে সেই কারখানাকে। এদিকে এই কারখানার পাশে আরও একটি গেঞ্জির কারখানা রয়েছে। এছাড🌠়া তার পাশে একটি বিয়েবাড়ি, ওষুধ, আসবাবপত্রের গুদাম রয়েছে। রয়েছে একটি বড় আবাসনও। আশেপাশের কারখানা এবং গুদাম ঘরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আবহে দমকলকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয়রাও। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, দমকল খবর পেয়েও পৌঁছতে দেরি করেছে। ততক্ষণে আগুন অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছিল। দমকল আগে এলে ক্ষয়ক্ষতিও খানিক কম হত।