প্রত্যাশিত ছিলই। তবে সেটা ছাপিয়ে গেল। একুশে জুলꦯাইয়ের শহিদ সমাবেশে বাড়তি লাভ হল মেট্রো রেলের। কারণ এদিন বাস–ট্রাম–টোটো–অটো রাস্তায় সেভাবে দেখা যায় না। সুতরাং মানুষজনকে নির্ভর করতে হয় মেট্রো রেলের উপর। এটা শহরের মধ্যে তখন একমাত্র গন্তব্যে পৌঁছনোর লাইফলাইন। রাজ্যের নানা জেলা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মী–সমর্থকরা কলকাতায় ভিড় জমান। আর তাই তাঁরা মেট্রো সফর করে থাকেন। সুতরাং বাড়তি ভিড় দেখা যায়। আর বাড়তি ভিড় মানেই বাড়তি আয় হয় মেট্রোর। ভিড় যে হবে সেটা আগাম বুঝতে পারা গিয়েছিল। কিন্তু মেট্রো যে বনগাঁ লোকালের আকার নেবে এটা কর্তৃপক্ষও ভাবেননি।
ধর্মতলায় শহিদ সমাবেশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে লাখ লাখ মানুষ এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে যেমন সাধারণ মানুষ ছিলেন তেমন কর্মী–সমর্থকরাও ছিলেন। তাঁরা কলকাতায় এসে মেট্রো চড়ার আনন্দ উপভোগ করেন। আবার যাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গড়িয়া পর্যন্ত আসেন তাঁরা ধর্মতলা পৌঁছতে কবি সুভাষ থেকে মেট্রোতে সফর করেন। এই পরিস্থিতিতে ২১ জুলাই বেলা ৩টে পর্যন্ত ব্লু লাইনে যাত্রী সংখ্যা প্রকাশ করল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা মেট্রো রেল জানায়, ২১ তারিখ দুপুর ৩টে পর্যন্ত ১.৯২ লক্ষ যাত্রী ব্লু লাইনে সফর করেছেন। যা গত র🌌বিবারের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। ১৪ জুলাই মেট্রোতে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১.০৭ লক্ষ।
এই ভিড় যেমন হয়েছে তেমন বাড়তি লক্ষ্মীলাভও হয়েছে। এটা যে হবে সেটা বুঝতে পেরেছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তার উপর ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্♏যায়ের আবেদন। ওইদিন ভিড় হবে এবং তা সামলাতে ব্যবস্থা করতে হবে বলে আগাম জানিয়েছিলেন মু🍌খ্যমন্ত্রী। তাতে সাড়া দিয়েই মসৃণ পরিষেবা দিতে তৎপর হয় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল ৯টাতেই পরিষেবা শুরু হয় ব্লু লাইনে। যাত্রীদের সুবিধায় বাড়তি কাউন্টার খোলা হয় এবং বাড়তি কর্মীও রাখা হয়। এমনকী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে অতিরিক্ত আরপিএফ কর্মী রাখা হয়। সর্বক্ষণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখেন মেট্রোর উচ্চপদস্থ অফিসাররা।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবস শেষ হতেই রাজপথে ‘টিম কলকাতা প🌳ুরসভা’, আধ ঘণ্টায় সাফ ধর্মতলা চত্বর
তবে কত বেশি রোজগার হয়েছে সেটা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানাননি। কিন্তু একটা রাজনৈতিক সমাবেশে এমন ভিড় হতে পারে তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। দুর্গাপুজোয় এমন ভিড় হয় ঠিকই। তাও প্রত্যেকদিন মানুষ রাস্তায় নামেন বলে। কিন্তু একটা রাজনৈতিক সভায় এমন ভিড় খুব একটা দেখা যায়নি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মেট্রো রেলের এক অফিসার বলেন, ‘দুর্গাপুজো, আইপিএল ম্যাচকে হার মানিয়ে দিয়েছে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর যে জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে সেটা এবার স্পষ্ট উপলব্ধি করা গেল। তাঁর কথা শুনতে এবং তাঁকে দেখ꧋তে এভাবে মানুষ রাজপথে নেমে পড়বে সেটা এই ভিড় চাক্ষুষ না করলে বোঝার উপায় নেই।’