কয়েকদিন আগে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের গাড়ি দেখা গিয়েছিল রেড রোড থেকে এসএন ব্যানার্জি রোডের দিকে যেতে। ব্যস, তখন চাউর হয়ে যায় কলকাতার নগরপাল রেসের মাঠে খেলতে যান। হইহই কাণ্ড পড়ে যায় শহরের বুকে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, পুলিশ কমিশনার রেস খেলেন? কিন্তু অবশেষে যা জানা গেল তাতে হাসির রোল উঠেছে।ঠিক কী ঘটেছে? কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, যা দেখা গিয়েছে সেটা সঠিক। আর যা বোঝা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ ভুল। দু’সপ্তাহ আগে রেড রোডে আহত অবস্থায় পড়েছিল কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের একটি ঘোড়া। তাকে দেখতে এস এন ব্যানার্জি রোডে ঘোড়সওয়ার পুলিশের কার্যালয়ে হাজির হন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। ওই মেয়ে ঘোড়াটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘোড়াশালের অন্য ঘোড়াদের দেখার পাশাপাশি আহত ঘোড়াটির চিকিৎসার যাতে কোনও ত্রুটি না হয় তার খেয়াল রাখতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর হাসির রোল উঠেছে।মাউন্টেড পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ মে মাউন্টেড পুলিশের কার্যালয় থেকে ‘ইন্ডিয়ান ডিলাইট’ নামে ১৪ বছরের একটি ঘোড়াকে ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তখন ময়দানে চরতে থাকা একটি পুরুষ ঘোড়া আচমকা তার কাছাকাছি চলে আসায় ‘ইন্ডিয়ান ডিলাইট’ লাফালাফি শুরু করে। তাতে পিঠে সওয়ার পুলিশকর্মীকে মাটিতে পড়ে যান এবং দৌড়তে শুরু করে ঘোড়াটি। পিছু নেয় পুরুষ ঘোড়াটিও। রেড রোডের কাছে মেয়ে ঘোড়াটির লাগামের দড়ি পুরুষ ঘোড়াটির মুখে আটকে যায়। তখনই ‘ইন্ডিয়ান ডিলাইট’–এর মুখে এবং পেটে পা দিয়ে আঘাত করে অপর ঘোড়াটি। তার জেরে খুলির ও নাকের হাড় ভেঙে যায়। পেটেও গভীর ক্ষত হয়।ঘোড়াটির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। নিয়মিত স্যালাইন চলছে। দুর্ঘটনার পরের দিনই ঘোড়সওয়ার পুলিশের ওসি অভ্রকিশোর চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে এই বিষয়ে খবর নিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার। ঘোড়াদের চিকিৎসার জন্য কীভাবে সেখানে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে মাউন্টেড পুলিশের ওসি–কে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলেছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।