অ্যাপে লগ্নি করা এবং তা থেকে জালিয়াতি—এই কাজ ෴করছিল গুজরাটের দুই ব্যবসায়ী। তাতে প্রচুর মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বাংলার মানুষজনও প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। লালবাজারের গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, এই দুই ব্যবসায়ী গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে দুবাইয়ে পালিয়েছে। তাই এদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। এই প্রতারণার কাজে কলকাতার মূল অভিযুক্ত শৈলেশ পাণ্ডে, তার দুই ভাই এবং সঙ্গী প্রꦐসেনজিৎ দাসের সঙ্গে এই দুই ব্যবসায়ীর সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
ঠিক🐲 কী জানতে পেরেছে পুলিশ? লালবাজার সূত্রে খবর, গুজরাটের প্রতারক এই দুই ব্যবসায়ীর নাম তুষার প্যাটেল এবং মনীশ প্যাটেল। কিছুদিন আগে শৈলেশ পাণ্ডে–কে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় শৈলেশের দুই ভাই অরবিন্দ ও রোহিতকে। এমনকী শৈলেশের ডান হাত প্রসেনজিৎ দাসকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। অ্যাপের মাধ্যমে ডলার ল♛গ্নি করতে বলে হঠাৎই বন্ধ করে দেওয়া হতো অ্যাকাউন্ট। তখন টাকা তুলে নিয়ে অন্য অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। এভাবেই চলত জালিয়াতি।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে ২২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকꦏাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেখানে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এমনকী দেড়শো কোটি টাকা যে অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে, তার একটি অংশ পরিচালনা করত পাণ্ডেদের তিন ꦓভাই এবং প্রসেনজিৎ। বাকি অ্যাকাউন্টগুলি গুজরাট থেকেই প𓃲রিচালনা করা হতো। শৈলেশ আর প্রসেনজিৎকে জেরা করেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন, এই দ♚ুই ব্যবসায়ী তুষার প্যাটেল–মনীশ প্যাটেল আসলে আত্মীয়।
দুবাইয়ের যোগ মিলল কী করে? গোয়েন্দাদের প্রসেনজিৎ জ💙েরা জানিয়েছে, ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ রয়েছে দুবাইয়ে। প্রসেনজিৎ–কে গুজরাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। লালবাজারের গোয়েন্দাদের একটি টিম গুজরাটে তল্লাশি করতে গিয়ে প্রসেনজিৎ–কে গ্রেফতার করে। তখনই তুষার ও মনীশ ꧅দুবাইয়ে গা–ঢাকা দেয়। তাই লুক আউট নোটিশ পাঠিয়ে দেশের প্রত্যেকটি বিমানবন্দরকে সতর্ক করা হয়েছে।