গাড়ির পর ফ্ল্যাটেও বিপুল সম্পদ পেল পুলিশ। হাওড়ার শিবপুরে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা থেജকে শুরু করে সোনা–রুপো–হিরের গয়না। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সপরিবারে গা–ঢাকা দিয়েছে শৈলেশ পাণ্ডে ও তাঁর ভাই অরবিন্দ পাণ্ডে। এখনও খোঁজ মেলেনি দুই ভাইয়ের। তাই এবার পাণ্ডে ভাইদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল লালবাজার। কারণ মোট ৮.১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে শৈলেশ এবং তাঁর ভাইদের বাড়ি–গাড়ি থেকে। শৈলেশের দুই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে ২০ কোটি টাকা আছে। সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে শিবপুরে? একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে শিবপুরে অভিজাত আবাসনে হানা দেন গোয়েন্দারা। গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। আর সোনা–রুপো–হিরের গয়না। হদিশ মেলে দুই অ্যাকাউন্টের। যেখানে রাখা ছিল ২২ কোটিরও বেশি টাকা। অ্যাকাউন্ট দুটি ফ্রিজ করেন গোয়েন্দারা। ফ্ল্যাটে ৬ কোটির মতো টাকা উদ্ধার হয়। শিবপুরের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনের আবাসনে হানা দিয়ে কলকাতা পুলিশের কর্তারা তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। সেখানে উদ্ধার হয় ৫ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। বাজেয়াপ্ত প্রচুর গয়না। আবাসনের ত💯িনতলায় ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডের আর একটি ফ্ল্যাট আছে। আবাসনের পার্কিং লটের গাড়িতে উদ্ধার হয় প্রায় আড়াই কোটে টাকা।
ঠিক কী পরিচয় শৈলেশ পাণ্ডের? পুলিশ সূত্রে খবর, শৈলেশ পাণ্ডে পেশায় ছিলেন চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টꦆ। শৈলেশ পাণ্ডে বিদেশ থেকে কালো টাকা এনে সাদা করতেন। এমনকী বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে সেই টাকা ট্রান্সফার করিয়ে সাদা করতেন। বক্স খাটের মধ্যে লুকিয়ে রাখা আটটি ব্যাগের মধ্যে ছিল 🏅টাকা। উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না। শৈলেশ ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণা করত। এখন সপরিবারে পলাতক ব😼্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে।এই বিপুল পরিমাণ টাকা এসেছিল বিদেশ থেকেই।