একটি সাম্প্🍸রতিক ঘটনা। বড়তলা থানায় তখন পুলিশ অফিসাররা কাজের ফাঁকে গল্প করছিলেন। তখন সেখানে আসেন এক ব্যক্তি। আর ডিউটি অফিসারকে জানান, ‘স্যার, ফুটপাত দিয়ে যাওয়ার সময় ওরা চমকে মোবাইলটা নিয়ে গেল।’ অর্থাৎ শহরে ছিনতাই হয়েছে। ওই পুলিশ অফিসার ধমক দিয়ে উঠে বলেন, ‘মোবাইল ঠিক করে রাখতে পারেন না? এখন কাজের চাপ আছে। ওখানে অপেক্ষা করুন। না হলে কাল আসুন।’ তখন ওই ব্যক্তি থানার ভিতরে থাকা বেঞ্চে বসে থাকেন। কেটে যায় দুপুর থেকে সন্ধ্যা। তারপর অভিযোগ নেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে সব শেষ।
এবার যখন অভিযোগ নেওয়া হচ্ছিল তখন ওই ব্যক্তি নিজের আসল পরিচয় দেন। আর তাতেই পা কেঁপে যায় ডিউটি অফিসারের। কারণ বড়তলা থানায় আসা ব্যক্তিটি আসলে লালবাজারের ‘চর’। ছদ্মবেশে তিনি গিয়েছিলেন বড়তলা থানায়। 🐼এভাবেই যাচ্ছেন তিনি আরও অনেক থানায়। তাঁর মতো আরও লালবাজারের অফিসার স্থানীয় থানাগুলিতে গিয়ে ঢুঁ মারছেন। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সোর্স হিসেবে কাজ করেন যিনি তিনি এভাবে এসেছিলেন। কারণ থানার অফিসাররা জ♊নগণের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন সেটা খতিয়ে দেখতেই এই সারপ্রাইজ ভিজিট।
আরও পড়ুন: সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রচারে নেই বিজেপির তাবড় নেতারা, উপনির্বাচন নিয়ে চর্চা
বড়তলা থানার ওই ডিউটি অফিসারের দুর্ব্যবহার দেখে স্তম্ভিত লালবাজারের চর। এখন লালবাজারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে কোনও দুর্ব্যবহার করা চলবে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নির্দেশ আসে লালবাজারের কাছে। তারপরই সেটা খতিয়ে দেখতে চর আসে বড়তলা থানায়। এমনকী অন্যান্য থানাগুলিতেও নানা অজুহাতে যাবেন তাঁরা। কেমন কাজ হচ্ছে? ব্যবহার কেমন থাকছে? সব খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এই কারণেই বহু নাগরিক থানায় গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয় সেটা সরাসরি কলকাতার পুলিশ কমিশনার অথবা জয়েন্ট সিপি ক্রাইমকে ইমেল করে জানান। আবার কলকাতা পুলিশের ১০০ ডায়ালে ফোন করে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। তাই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বল𒊎ে লালবাজার সূত্রে খবর।