কোনও মিটিং মিছিল, কোনও ম্যাচ বা বড় কোনও অনুষ্ঠানে গাড়ি বা বাইকে চড়ে বিশৃঙ্খলার মোকাবেলা করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে তাই ঘোড়সওয়ার বাহিনি বা মাউন্টেড পুলিশের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৪০ সাল থেকে রাজ্যের মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশেই রয⛎়েছে এই ঘোড়সওয়ার বাহিনি। এই বাহিনির সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবার অন্যান্য পুলিশ কমিশনারেটেও ঘোড়সওয়ার বাহিনী রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এনিয়ে নবান্নে চূড়ান্ত কোনও প্রস্তাব পাঠানো হয়। তবে কলকাতার মতো অন্যান্য পুলিশ কমিশনারেট ঘোড়সওয়ার বাহিনি থাকলে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।
বর্তমানে শুধুমাত্র কলকাতায় রয়েছে ঘোড়সওয়ার বাহিনি। পুলিশ কর্তাদের কথায়, বিক্ষোভ বা জামায়াত বলে তা সামাল দিতে ঘোড়সওয়ার বাহিনির কোনও বিকল্প নেই। তেমনি ইডেনে মাঠের বাইরে দর্শকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে এই বাহিনির ভূমিকা অদ্বিতীয়। কুচকাওয়াজ-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং টহলদারির কাজে ঘোড়সওয়❀ার বাহিনি ব্যবহার করা হয়। স্বাধীনতার আগে এই বাহিনির জন্য ঘোড়া কেনা হত বিদ🃏েশ থেকে। তবে স্বাধীনতার পর থেকে পঞ্জাব, হরিয়ানা, পুনে প্রভৃতি জায়গা থেকে ঘোড়া কেনা হয়। বছর খানেক আগে কলকাতা পুলিশ পঞ্জাব থেকে ১১টি ঘোড়া কিনেছিল। সেই সময় ঘোড়ার দাম ছিল দু-লক্ষ টাকা করে। বর্তমানে কলকাতা পুলিশের ঘোড়ার সংখ্যা ৬৯টি। এছাড়া বারাকপুর পুলিশ ট্রেনিং কলেজে প্রশিক্ষণের জন্য রাজ্য পুলিশের হাতে ৩৯টি ঘোড়া রয়েছে। এক পুলিশ কর্তার কথায়, বিহার, রাজ♋স্থানের মতো বেশ কিছু রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ঘোড়সওয়ার বাহিনী রয়েছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশে ঘোড়সওয়ার বাহিনি রয়েছে।
তবে অন্যান্য কমিশনারেটে ঘোড়সওয়ার বাহিনি করতে সে ক্ষেত্রে নতুন ঘোড়া কেনার প্রয়োজন রয়েছে। তা ছাড়া প্রয়োজন আস্তাবল এবং অন্যান্য কর্মী। বারাকপুর পুল🌸িশ ট্রেনিং কলেজে যে সংখ্যক ঘোড়া রয়েছে পুলিশকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য সেই সংখ্যাটা যথেষ্ট নয় বলেই মন💝ে করছেন পুলিশ কর্তারা। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের তরফে ২১টি ঘোড়া কেনার প্রস্তাব নবান্নে জমা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোড়া কেনা হলে অন্যান্য কমিশনারেটে ঘোড়া কেনার বিষয়ে জোর দেওয়া যাবে বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।