খাস কলকাতায় আবার বিপুল টাকার পাহাড় সামনে চলে এল। আর তা প্রকাশ্যে আসে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) সৌজন্যে। ইডির তল্লাশিতে এই বিপুল পরিমাণ নগদের হদিশ মিলল লেক মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। দক্ষিণ কলকাতার লেক মার্কেট এলাকায় বরাবরই বড়লোকদের বাস। আর এটা অত্যন্ত পশ এলাকা। অনেকে এটাকে শহরের প্রাণকেন্দ্রও বলে থাকেন। সেখানে আজ, শুক্রবার সকালে টাকা গোনার মেশিন নিয়ে আসতে হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩ কোটি টাকা গণনায় উঠে এসেছে। তবে এখনও টাকা গোনা চলছে। লটারি প্রতারণা মামলায় শহরজুড়ে চলছে তল্লাশি। তার মধ্ꦑযেই লেক মার্কেট বিপুল পরিমাণ টাকার হদিশ মিলল।
আজ সকাল থেকে ইডি’র তদন্তকারীদের কয়েকটি দল কলকাতার নানা প্রান্তে জোর তল্লাশি করছে। তখনই লেক মার্কেট এলাকায় ত▨ল্লাশি চলে। ইডি সূত্রে খবর, লেক মার্কেট এলাকার প্রিন্স গোলাম মহম্মদ রোডের একটি বহুতলে এক ব্যক্তির ফ্ল্যাট থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আর সেই টাকা গুণতেই নিয়ে আসা হয়েছে টাকা গোনার যন্ত্রও। এই প্রিন্স গোলাম মহম্মদ রোড হচ্ছে লেক মলের ঠিক বিপরীত রাস্তা। একটা গলি যা ঢুকে গিয়েছে এবং তিনদিক দিয়ে তিনটি রাস্তা বেরিয়েছে। বৃহস্পতিবার লটারি দুর্নীতি মামলায় লেক মার্কেট এবং মধ্যমগ্রামের কাছে মাইকেলনগর এলাকার দুই জায়গায় অভিযান চালায় ইডি। আজ, শুক্রবারও চলছে তল্লাশি।
আরও পড়ুন: বেসরকারি হাসপাতালে লাগাতে হবে ডিসপ্লে বোর্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসায় কড়া রাজ্য সরকার
তবে মধ্যমগ্রামেও টাকা গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মাইকেলনগরের দোতলা বাড়ির গোটাটাই ডিয়ার লটারির পূর্বাঞ্চলের গোডাউন ও দফতর। তবে টাকা উদ্ধারের বিষয়ে ইডির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। লটারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লটারি জেতার যে টাকা তা থেকে কর বাবদ অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা না দিয়ে হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হতো। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতায় হানা দেয় ইডি। তারপর দু𓆏’দিন ধরে 🔯চলছে ম্যারাথন তল্লাশি। শুধু তাই নয়, লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। আর এই প্রতারণার সঙ্গে প্রভাবশালী যোগের তত্ত্ব উঠে এসেছে বলে অভিযোগ।