নীলবাতি, লালবাতিকাণ্ডে এবার মুখ খুললেন খোদ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তৃণমূলের জেলা পর্যায়ের নেতা থেকে বিজেপির নেতা রেয়াত করলেন না কাউকেই। তবে তাৎপর্যপূর্ণ🌺ভাবে সিপিএমের সিনিয়র লিডারদেরও এই প্রবনতা ছিল না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এদিকে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন তখন লালবাতি, নীলবাতির ব্যবহার নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য়। অভিযোগ ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব নীলবাতি লাগানো গাড়ি চড়েই ঘুরে বেড়াত। পুলিশের জালে ধরা পড়েছে আর এক ভুয়ো আধিকারিক। তার গাড়ির বহর দেখেও হতবাক তদন্তকারীরা।
সেই লালবাতি ও নীলবাতির ব্যবহারকে ক্ষমতা ও ঔদ্ধত্য়ের প্রতীক বলে উল্লেখ করেছেন মদন মিত্র। এর সঙ্গেই বিজেপিকে নিশানা করেও তোপ দেগেছেন তিনি। প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, ‘দেবাঞ🍷্জনদের ওরাই পুট করেছে। ওদের কাছে লিস্টটা আছে। বিজেপির অফিস রেড করলে দেবাঞ্জনদের লিস্ট পাওয়া যাবে। ওদের প্লান ছিল পশ্চিমবঙ্গকে ধনে,♉ প্রাণে মারব। ভ্যাকসিন না দিয়ে মারব, আট দফা ভোট করে মারব।’
লালবাতি. নীলবাতি প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী নিষেধের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন. ‘এমন অনেক লোক আমি দেখেছি যে লালবাতি তো দূরের কথা তাদের মোমবাতি দেওয়াই উচিৎ নয়। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস খায় না মাথায় দেয় জানে না। নাম বলতেও লজ্জা লাগে। তারাও লালবাতি চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।’ সিপিএম নেতার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘সিপিএমের অনেক সিনিয়র লিডারদের দেখেছি তাঁরা কিন্তু সেই অর্থে ব্যবহার করেন না। তৃণমূল কংগ্রে💞সের ব্যবহারও প্রায় কমে এসেছে বললেই হয়। তবে জেলা পর্যায়ে এর ম্যাসিভ ব্যবহার হচ্ছে। সেটা সরকারি থেকে বেসরকারি পর্যায়ে। এই ক্ষমতার অপব্যবহার বা লাল-নীল বাতির অহঙ্কার এবং ঔদ্ধত্য় মানুষ মেনে নেয় না।’