এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সিলেবাসেরও কিছু রদবদল হতে পারে। মূলত আইসিএসই ও সিবিএসই বোর্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যের বোর্ডের সিলেবাসকে তৈরি করতে চাইছে সরকার। তবে এব্যাপারে আগেই এনিয়ে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছিলেন বিচারপতি।আগামী দিনে সর্বভারতীয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যে বোর্ডের পড়ুয়ারাও যাতে ভালো ফল করতে পারে সেজন্য়ও এই উদ্য়োগ। সূত্রের খবর, এনিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে রাজ্য়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে।এদিকে এর আগে রাজ্যের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীদের সংখ্য়া কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রশ্ন উঠেছিল তবে কি দিল্লি বোর্ডের সিলেবাসের আকর্ষণেই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পড়ুয়াদের একাংশ? এদিকে সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্য়ায়কে বিচারপতি বার্তা দিয়েছিলেন, অন্যান্য বোর্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাজ্যের বোর্ডের সিলেবাসও সংস্কার করুক রাজ্য় সরকার। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন এই রাজ্যের সিলেবাস বেশ পুরানো। সেকারণেই কি মধ্য় শিক্ষা পর্ষদের স্কুল ছেড়ে দিল্লি বোর্ডের স্কুলে ভর্তি হয়ে যাচ্ছেন পড়ুয়াদের অনেকেই?তবে বিচারপতি জানিয়েছিলেন, মাধ্যমিক বোর্ডের পড়ুয়ারা কোনও অংশেই অন্যান্য বোর্ডের থেকে কম নয়। তবে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তবে কি মান্ধাতার আমলের সিলেবাসের জেরেই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন রাজ্য বোর্ডের পড়ুয়ারা?কারণ অভিভাবকদের একাংশের মতে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অন্য়ান্য় বোর্ড সিলেবাসে বদল এনেছে। কিন্তু রাজ্য় সরকারের এখনও সেই মান্ধাতার আমলের পরিস্থিতি। সেখানে দিনের পর দিন ধরে একই ধরনের সিলেবাস। তার রদবদলের কোনও ব্যাপার নেই। এমনকী তা নিয়ে নতুন করে চর্চার কোনও পরিস্থিতি তৈরি করা হয় না। সেকারণে বহু সচেতন বাবা মা তাঁদের সন্তানকে দিল্লি বোর্ডে ভর্তি করে দিচ্ছেন। গড়পরতা পড়াশোনা হচ্ছে মধ্য় শিক্ষা বোর্ডের স্কুলে। এমনটাই অভিযোগ অভিভাবকদের একাংশের।তবে সূত্রের খবর, এবার বিচারপতিও এই সমস্যার প্রতি ফোকাস করেছেন। সূত্রের খবর, রাজ্য়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবার শীঘ্রই শিক্ষা দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বলে খবর। সেখানে সিলেবাস সংস্কারের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মূলত নবম দশমের সিলেবাস সংস্কার নিয়েই এই উদ্যোগ বলে খবর। সেক্ষেত্রে এবার বদলাতে পারে মাধ্যমিকের সিলেবাস।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শেষ পর্যন্ত যদি সিলেবাসে বদল হয় তবে স্বস্তি পাবেন পড়ুয়ারা, স্বস্তি পাবেন অভিভাবকরা।