কালীঘাটের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার কার্যত ঠাসা কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। তিনি বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী। শুধু পুজো উদ্বোধনই নয়, তার পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকও করলেন তিনি। সেই সঙ্গেই রাজ্যের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পে বিরাট বিরাট সব ঘোষণা করলেন তিনি। কার্যত সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার ꦍআগে উন্নয়নের অস্ত্রে কোণঠাসা করতে হবে বিরোধীদের। অনেকটা সেই হাতিয়ারেই শান দেওয়া শুরু করে দিল শাসকদল।
অন্যꦇদিকে তিস্তার বিপর্যয়ের জেরে বিধ্বস্ত সিকিমের বিস্তীর্ণ অংশ। তার প্রভাব পড়েছে কালিম্পংয়েও। এদিন পুজো উদ্বোধনের সময় যখন কালিম্পংয়ের প্রসঙ্গ আসে তখনও মুখ্য়মন্ত্রী সেখানকার পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন। তিস্তা বিপর্যয়ে মৃতদের পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্যভাতা সবক্ষেত্রে বিরাট কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানিয়েছেন, ৯০ হাজার লক্ষ্মীর ভাণ্ড🔜ারের আবেদন আমরা পেয়েছি। পুজোর পরে সব দিয়ে দেব। পুজোর পরে বার্ধক্যভাতাও দিয়ে দেব।
তৃণমূল সরকারের বড় প্রকল্প হল এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। বহু নারীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে এই প্রকল্প। বিরোধীরা নানা সময়ে এনিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই একটা প্রকল্প তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে সবরকম চেষ্টা করেছে। এই একটা প্রকল্পের জেরে হাজার হাজার নারী ভোটবাক্সে তৃণমূলের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। আর পুজোর পরে আবারও ৯০ হাজার বাংলার নারীর মু༒খে হাসি ফুটবে। আবেদনকাররা পাবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। এমনকী সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধরাও পাবেন বার্ধক্যভাতা।&nbs𝓰p;
তবে বিরোধীরা বহু ক্ষ✱েত্রে অভিযোগ করেন, কর্মসংস্থানের কোনও বালাই নেই। ৫০০ টাকা অনুদান দিয়ে ভোট কেনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে বিরোধীদের সমালোচনাকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান দিয়েছে হাজার হাজার মহিলাকে। এটা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক।
সেই সঙ্গেই এবার মুখ্ꦰয়মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন উৎসবের মরশুমে বিধায়কদের ছুটি বাতিল। এলাাকতেই থাকতে হবে তাঁদের। মোটের উপর মানুষের পাশে থাকতে হবে ২৪ ঘণ্টা সাত দিন সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।