হিন্দি বিজেপি বিরোধী দলগুলি এক হয়ে গঠন করেছেন ‘ইন্ডিয়া’ মহাজোট। বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএমের অবস্থান কি হবে তা আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলায় তারা তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ইন্ডিয়া মহাজোটের তৃতীয় দফার বৈঠক রয়েছে মুম্বইয়ে। তার আগেই কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে বাংলায় তৃণমূলের অবস্থান কি হবে তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী? বাংলায় কি তৃণমূল একাই লড়বে? তাই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বাংলায় জয় বাংলা স্লোগান হবে এবং ꦯদিল্লিতে স্লোগান হবে জয় ইন্ডিয়া। বাংলায় পথ দেখাবে।’
আরও পড়ুন: 'কে ♉কী করছে, সব দেখছি', এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ খোদ পুলিশমন্ত্রী মমতার
সোম♒বার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূল নেত্রী একযোগে কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তাঁর কটাক্ষ, বাংলায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি এক হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এখন নতুন লাল হয়েছে। নতুন আবির মেখেছে। সব একসঙ্গে কা কা কা করে ডাকছে। ওরা কুহু ডাকতে পারেনা।’
প্রসঙ্গত, সা🍨মনেই রয়েছে ধুপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচন। সেই লক্ষ্যে বাংলায় বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করবে বাম–কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তারা প্রার্থীও দিয়েছে। তারপরেই সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছিলেন, ‘বাংলায় কংগ্রেসের নতুনভাবে পুনরুত্থান শুরু হয়েছে। তা দেখে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তিনি স্পষ্ট করে দেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়বে।
উল্লেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া মহাজোটের তৃতীয় দফার বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। সেখানে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়াও, ইন্ডিয🌠়া মহাজোটের প্রতীক বা লোগো প্রকাশ করা হবে। এর পাশাপাশি ১১ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হবে, যা বিভিন্ন দলের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে। এছাড়াও, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে জোটের নির্দিষ্ট কাজগুলি পরিচালনা করার জন্য কমপক্ষে আরও পাঁচটি প্যানেল তৈরি করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে। এই বৈঠকের একটি খসড়া যৌথ বিবৃতি প্রস্তুত করা হতে পারে বলে নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন। অন্যদিকে, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। তাই ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন দল কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি প্রভাব ফেলতে একে অপরের বিষয়বস্তু শেয়ার করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা করা হবে। সেই বৈঠকের আগেই মমতা যেভাবে কংগ্রেস–সিপিএমকে আক্রমণ করেছেন তাতে বাংলায় তৃণমূলের অবস্থান কি হবে তা নিয়েই তিনি ইঙ্গিত দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।