ভোটের আগে রাজ্যের অন্তর্বর্তী বাজেট (ভোট অন অ্যাকাউন্ট) ঘোষণায় আর এক মাস্ট্রারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসুস্থতার জন্য অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর অনুপস্থিতিতে শুক্রবার বাজেট পড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক জনꩲকল্যাণমূলক বাজেট বরাদ্দের মাঝে তিনি এদিন ঘোষণা করেছেন, ৬০ বছরের উর্ধ্বে সকল মানুষ এবং ১৮ বছরের উর্ধ্বে সকল বিধবাকে পেনশন দেবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
মমতা এদিন বলেন, ‘আমাদের সাধারণ ঘরে অনেকের বুক ফাটে তো মুখ ফাটে না। অনেক কষ্ট করে অনেক পরিবার থাকে। জয় জোহার এবং তফশিলি বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত বয়স্ক তফশিলি জাতির মানুষ ও আদিবাসীদেরও পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা করেছি। তা ছাড়া ‘মানবিক’🌸 প্রকল্পের মধ্যে সমস্ত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষকেও পেনশনের আওতায় এনেছি। বর্তমানে ৭ লক্ষ বয়স্ক, বিধবা এবং বিশেষ𒁏 চাহিদাসম্পন্ন মানুষকে আমরা পেনশন দিচ্ছি। এটি আমাদের দেশের মধ্যে নজির।’ এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবারের বাজেটে।
এর পাশাপাশি নির্মাণ ও পরিবহণ শিল্পের সঙ্গ𓂃ে যুক্ত শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের ৪৫ লক্ষ শ্রমিককে এককালীন ১ হাজার টাকা দেবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘করোনা মহামারীর জেরে লকডাউনে আবাসন শিল্প ও পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ধরণের প্রায় ৪৫ লক্ষ শ্রমিককে সহায়তার জন্য বিনামূল্যে ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে এককালীন ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’ এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ🌠্য সরকার এখন সাধারণ পুরোহিত, তফশিলি ও আদিবাসী–সহ সকল পুর🦩োহিতকে মাসিক ভাতা প্রদান করে। এবারের বাজেটে এদিন মমতা ঘোষণা করেন, ‘দরিদ্র মাঝিদের আগামী অর্থবর্ষ থেকে হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে।’ এর জন্য আগামী অর্থবর্ষে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করেন মুখ্যমন্ত্রী।