♏লকডাউনে খাদ্যবিলাস নিয়ে কিছু দিন আগেই বাজাড়ু বাঙালিকে ধমকেছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে এবার নিজের সহজসরল খাদ্যাভাসের বর্ণনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমংতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দেশজুড়ে লকডাউনের তোয়াক্কা না করে থলে হাতে বাজারে বিড় করছে আপামর বঙ্গসন্তানরা। নোলার টানে খেয়াল থাকছে নাඣ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার🌊 বিধি-নিষেধ।
পই পই করে প্রচার সত্ত্বেও চরম বিপদের মুখেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না বলে আগেও বিরক্তি প্রকা𒁏শ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার নিজের রোজের খাবারের ফিরিস্তি দিয়ে বিষয়টি 🌟ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলেন মমতা।
তি🐬নি বলেন, ‘আমি তো মুড়ি খাচ্ছি। ডাক্তাররা বলছেন, এই সময় আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এই জন্য আমি খুব বেশি হলে দু চামচ ভাত খাই, আলুসেদ্ধ আর অল্প ডাল। আমার জন্য এই যথেষ্ট। এটা বিলাসিতা করার সময় নয়।’
লকডাউনে খাওয়াদাওয়া সহজ রাখলে ঘন ঘন বাজারে দৌড়বার দরকার পড়ে না। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘বাড়িতে থাকুন আর শুধু ভাত খান। এই সংকটের সময় একটু সেদ্ধভাত পেলেও মনে করুন যথেষ্ট পেয়েছেন। জানেন আমি কী খাচ্ছি? আমাকে দেখাশোনা করার জন্য বাড়িতে কেউ নেই। কাউকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছি না। দুটি মেয়ে আছে, যারা আমার সঙ্গেই থাকে। ওরা যা খায়, আমি তা-ও খাই না। তার জন্য কি আমার দুঃখ হচ্ছে? না, আমাকে এটাই মেনে নিতে ඣহচ্ছে।’
শুধু লকডাউন বলে নয়, খাওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে বিশেষ শৌখিনতা নেই, তা ঘনিষ্ঠরা সকলেই মানেন। তাঁর অন্যতম প🧔্রিয় খাবার মুড়়ি ও আলুরচপও নিয়মিত বা প্রচুর পরিমাণে তাঁকে খেতে দেখা যায় না।
করোনা সংকটে বাড়িতে থাকার♚ গুরুত্ব বোঝাতে তিনি বার বার বলছেন, ‘বাড়িতে থাকাই নিগরাপদ কারণ প্রতিদিন আপনি ঘরদোর সাফসুতরো রাখেন।’
তবে তাঁর রাজ্যে মোটের উপরে লকডাউন সফল বলেই মনে করছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘মানুষের কাজ দেখে꧋ আমি খুশি।’