এতদিন তাঁরা জানতেন তাঁদের কাজ করে যেতে হবে। কেউ প্রশংসা করবে না তার জন্য। কারণ তাঁদের চাকরিটা হচ্ছে ধন্যবাদ–শুভেচ্ছাহীন কাজ। কিন্তু দেখা গেল সেটা নয়। কেউ একজন আছেন যিনি কাজের পর শুধু মুখে নয়, চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানান। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব থানার আইসিদের বিজয়ায় শুভেচ্ছাপত্র পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই প্রথম বাংলার কোনও মুখ্যমন্ত্রী এমন পত্র পাঠালেন। করোনার বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মীদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই এই শুভেচ্ছাবার্তা। করোনার বিরুদ্ধে আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন এই ফ্রন্টলাইন করোনা যোদ্ধারা। রাতদিন এক করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। সংক্রমিতও হচ্ছেন। তাঁদের সেই লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই এই শুভেচ্ছাপত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু পুলিশ কর্মীদেরই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে গিয়েছে বিশিষ্টজনদের কাছে। বাড়িতে বিজয়ার মিষ্টিও পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্যবার বিজয়ায় সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েই তাই জনসংযোগ সেরেছেন। বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের কাছেও গিয়েছে মমতার বার্তা।শুধু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই নয়, তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবেও অনেককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ এই বছর এভাবেই জনসংযোগ সারলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী। দশমীতে টুইট করে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে লিখেছেন, ‘বাংলার মা, মাটি, মানুষকে জানাই শুভ বিজয়ার আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। বড়দের জানাই প্রণাম, ছোটদের ভালোবাসা। মায়ের এবার যাওয়ার পালা। বিষাদের সুরে, মিষ্টিমুখে আসুন সকলে বলি, আসছে বছর আবার হবে।’