কালীঘাটের বাড়িতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেখানে দলের তাবড় নেতা মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকেই রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। আর সেই বৈঠকেই তিনি জানিয়ে দিলেন দলের অনুমতি ছাড়া যেন দলীয় বিধায়করা এলাকা ছেড়ে উৎসবের মরশুমে না চলে যান।সূত্রের খবর, আসলে উৎসবের মরশুমে যদি আচমকা বিধায়করা নিজেদের এলাকা ছেড়ে ছুটি কাটাতে অন্যত্র চলে যান তবে আখেরে সমস্যায় পড়তে পারেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু কেন মুখ্য়মন্ত্রী এমন কড়া অবস্থান নিচ্ছেন?সূত্রের খবর, একজন বিধায়ক নাকি কাউকে কিছু না জানিয়েই ব্যাঙ্ককে চলে গিয়েছিলেন। এরপরই এনিয়ে দলের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। আর সেকথা খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কানেও চলে গিয়েছিল। এরপরই তিনি এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মনে করা হচ্ছে সেই নিরিখেই এবার দলের বিধায়কদের আগাম সতর্ক করে দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী। পুজোর সময় ও উৎসবের মরশুমে যাতে কোনও বিধায়ক বা মন্ত্রী এলাকা ছেড়ে না চলে যান সেকারণে আগাম সতর্ক করলেন তিনি।তবে দলের একাধিক বিধায়ক ও মন্ত্রী পুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকেন। সেক্ষেত্রে তাঁরা সাধারণত পুজোর সময় এলাকাতেই থাকেন। তবে ব্যতীক্রমও আছে। পুজোর সময় আচমকাই দেখা যায় ফেসবুকে ছবি ভেসে উঠছে। দূর দেশে ছুটি কাটাচ্ছেন বিধায়করা। তবে এবার তাঁদেরই সতর্ক করে দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী।পুজো মানেই জনসংযোগ। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে জনসংযোগে ঝাঁপিয়ে পড়েন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। বাদ থাকেন না বিরোধীরাও। অন্যদিকে এবার আবার ডেঙ্গির দাপট। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতির বাড়াবাড়ি হলে তা সামাল দিতে এগিয়ে আসতে হবে শাসকদলের নেতা মন্ত্রীদের। কারণ পুজোর সময় অনেক সময় সরকারি আধিকারিকদের নাগাল পাওয়া যায় না। অনেকেই থাকেন ছুটির মুডে। হাসপাতালে বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের সংখ্য়া কম থাকে। কোথাও অশান্তি বা অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা হলে সমস্য়ায় পড়ে যান বহু মানুষ। সেক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন।