ফের ধর্মনিরপেক্ষতার উদাহরণ রেখে ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’ বিজেপি–র বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলল তৃণমূল। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মাঝে কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌবাগা এলাকায় নবনির্মিত শনি মন্দিরের উদ্বোধন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান।দীর্ঘদিন ধরে অযত্নে জীর্ণ অবস্থায় পড়েছিল কসবা চৌবাগার ওই শনি মন্দিরটি। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী জাভেদ খান নিজ অর্থ ব্যয়ে মন্দিরটিকে সুউচ্চ, দৃষ্টিনন্দন অট্টালিকায় রূপান্তিরত করলেন। বুধবার মন্দিরটির দ্বারোদ্ঘাটন করেন সাংসদ মালা রায়। নিজের তৈরি মন্দিরে দোয়া করেন জাভেদ খান। তিনি সেখান থেকেই বার্তা দেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপি–র বিনাশ হোক।’ মন্ত্রী বলেন , ‘আমরা সর্বদাই বাংলার সংস্কৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। ফের সেই চেষ্টাই করলাম। মন্দিরের দ্বারোদঘাটন একটা উপলক্ষ্য মাত্র। আসলে আমরা এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তুলতে চাই।’ এভাবে পুজোর মাধ্যমেই ভোটে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রস্তুতি শুরু করে দিল শাসকদল।উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি–কে সবসময় সাম্প্রদায়িক শক্তি হিসেবেই দেখেছে তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিন সাংসদ মালা রায় বিজেপি–র বিরুদ্ধে বলেন, ‘ধর্মের বেড়াজাল পার করে মানবতার কথা বলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। নন্দীগ্রাম হোক বা সিঙ্গুর, চৌরঙ্গী হোক বা চৌবাগা— এই দুঃসময়ে আমাদের অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতেই হবে। বিজেপি অনবরত সাম্প্রদায়িক ভাঙনের চেষ্টা করছে। মানুষে মানুষে বিবাদের সৃষ্টি করছে। তা আমরা কখনওই হতে দিতে পারি না।’