মুখ্যমন্ত্রীর কথা নিয়ে বিরোধীরা বিতর্ক তৈরি করলেও বাস্তবে সেটাই দেখা গেল। পুজোর দিনগুলিতে চপ, ঘুগনি, মুড়ি বিক্রি করার কথা বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই প্রতি🅺বাদে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু বিকল্প কর্মসংস্থান হিসাবে এভাবেই রোজগারের রাস্তা বাতলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যাঁর𒉰া অল্প শিক্ষিত বা শিক্ষিত নন তাঁদের কাছে এটা বড় পথ। কিন্তু তাতে সমালোচনাই শুনতে হয়েছিল। অবশেষে আজ, দশমীর দিন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি যে সঠিক তাতে সিলমোহর দিলেন মুড়ি–চা বিক্রেতারা।
মুড়ি বিক্রি করে সত্যি কি লাভের মুখ ༒দেখা গিয়েছে? কী বলছেন শ🐻হরের মুড়ি–চা বিক্রিতারা? শিবমন্দির–মুদিয়ালি দুর্গাপুজোর সংযোগস্থলে এক মহিলা মুড়ি–ভেলপুরী, পাপড়ি চাট নিয়ে বসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখন রাজপথে জনজোয়ার দেখা গিয়েছে দুর্গাপুজোয়। আর তাই মানুষ এইসব খাবার কিনে খাচ্ছেন। আর খেতে খেতে ঘুরতেও পারছেন। তাই দু’বছর করোনাভাইরাস কাটিয়ে ওঠার পর একটু টাকার মুখ দেখতে পেলাম। এই রোজগারটা দরকার ছিল। দুর্গাপুজোর দিন প্রতি আড়াই হাজার টাকা করে রোজগার হয়েছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের কাছে এক চা–বিক্রিতা নবমীর রাতে জানান, এবার পুজোর সময় কম করে তিন হাজার টাকা রোজগার করেছেন। আগের দ🅠ু’বছরের থেকে এবার ব্যবসা অনেকটা ভালো হয়েছে। অন্যান্য সময়ও তাঁর দিনে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা রোজগার বলে জানান ওই ব্যক্তি। নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের অদূর꧋ে স্থানীয় মহিলারা ঘুগনি বিক্রি করছিলেন। তাঁদের রোজগারের কথা জিজ্ঞেস করতেই প্রথমে লজ্জা পেয়ে যান। তবে পরে ব🐭লেন, ‘দিনে তাঁর বিক্রি দু’হাজার টাকা।’ জিজ্ঞাসা করলাম মুখ্যমন্ত্রী তাহলে ঠিকই বলেছেন? উত্তর এল, ‘দিদি আমাদের সুখ দুঃখের সঙ্গী। উনি তো ঠিক বলবেনই।’
ঠিক কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? গত ১৫ সেপ্টেম্বর খড়গপুরে উৎকর্ষ বাংলার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এক হাজার টাকা জোগাড় করুন। একটা কেটলি কিনুন। কয়েকটা মাটির ভাঁড় কিনুন। দেখবে𒁏ন কেমন চা বিক্রি হয়। তারপর কয়েকদিন যাওয়ার পর মা–কে বলুন একটু ঘুগনি করে দিতে, একটু আলুর দম করে দিতে। এই তো পুজো আসছে সামনে। দেখবেন, ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚলোককে দিয়ে কুলোতে পারবেন না। আজকাল এত বিক্রি আছে। কোনও কাজ জীবনে ছোট নয়।’ মিলে গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলছেন বিক্রেতারাই।