দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন। যদিও এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই আবহে রাজ্য প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল করা হচ্ছে। এবার সচিব পর্য🦩ায়ে বড় রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। আজ এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কর্মী বিনিয়োগ এবং প্রশাসনিক দফতরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অফিসারদের নতুন বদলির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে পুলিশ কর্তাদের ক্ষেত্রেও রদবদল করা হয়। সব মিলিয়ে প্রশাসনিক শীর্ষ পদে এখন তোলপাড় কাণ্ড শুরু হয়েছে।
এদিকে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরে বদল করা হয়েছে। দীর্ঘদিন হি♔ডকোর চেয়ারম্যান পদে ছিলেন আইএএস অফিসার দেবাশিস সেন। তিনি অবসর নেওয়ার পর সেই দায়িত্ব পান সঞ্জয় বনসল। তবে এবারের রদবদলে যুগ্ম দায়িত্ব পেয়েছেন সঞ্জয় বনসল। অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব এবং হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর করা হয়েছে সঞ্জয় বনসলকে। আর নীলম মিনাকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের প্রধান সচিবের দায়িত্বে আনা হয়েছে। পরিবেশ–মৎস্য এবং ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্বে থাকা রোশনি সেনকে স্থানান্তরিত꧃ করা হয়েছে শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান ও এমডি পদে।
অন্যদিকে ইনস্টিটিউট অফ এনভায়রনমে♚ন্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ডের অধিকর্তা পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনব চন্দ্রকে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বদলি রুটিন। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। লোকসভা𝔍 নির্বাচনের জন্য দীর্ঘদিন এক পদে থেকে যাওয়া অফিসার, শীর্ষ কর্তাদের বদলি আবশ্যিক হয়ে পড়েছিল। সেই নিয়ম মেনেই রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরে এই রদবদল করা হয়েছে। নবান্ন কর্তাদের কথায়, এই বদলি একেবারেই রুটিন। আমলাদের যে বদলি করতে হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সার্ভিস রুল অনুযায়ী এই বদলি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: এক লক্ষ টাকা করেജ সাহায্য ঘোষণা করলেন রাজ্যপাল, চোপড়ার ঘটনায় বিএসএ🃏ফের কাছে রিপোর্ট তলব
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আগামী লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তার আগেই প্রশাসনে রদবদল সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সেরে ফেলতে চায় নবান্ন। তাই এই রদবদলের প🐬দক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গত চার বছর যদি কোনও অফিসার এক জেলাতে তিন বছর কাজের সময় কাটান তাঁকে নির্বাচনের কাজে যুক্ত করা যাবে না। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এই সময়সীমা ধরতে হবে। সম্প্রতি সময়ে একগুচ্ছ ডব্লুবিসিএস অফিসারও বদলি হয়েছেন।