তারিখটা ১২ জুন। ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে আজও মাইলফলক হয়ে রয়েছে। কারণ ১৯৭৫ সালে এই তারিখে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা তৎকালীন ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনকে খারিজ করে দিয়েছিলেন। যা গত ৫০ বছর ধরে জাতꩲীয় রাজনীতিতে একটা বড় চর্চিত বিষয় হয়ে রয়েছে। কারণ তৎকালীন বিচারপতি বলেছিলেন, শাসনযন্ত্রের অপব্যবহার হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারে। আর তারপরই এই রায়ে আন্দোলিত হয়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। এবার ওই তারিখের আগে নতুন পোস্টার বের করে ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
এবার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার চর্চা শুরু হয়েছে এই ১২ জুন তারিখ নিয়ে। কারণ পাটনায় বিরোধী দলগুলির বৈঠক ডেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ওই বৈঠকে থাকছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরদ পাওয়ারের এনসিপি, চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস, ডিএমকে’র স্টালিন, সমাজবাদী প🌳ার্টির অখিলেশ যাদব, নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং উদ্ধব ঠাকরের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা। ঠিক তার আগে নতুন পোস্টার বের করল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী আছে সেই পোস্টারে? নতুন পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে তাতে লেখা, ‘দিল্লিতে পরিবর্তন চাই’। কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আর তো ছ’মাস। তার পর দিল্লিতে এই সরকার থাকবে না। নোট বদল, সংসদ বদল করতে গিয়ে ওদেরই এবার বদলে দেবে জনতা।’ এবার সেই মন্তব্য এবং ওই বৈঠককে সামনে রেখে এমন পোস্টার জাতীয় রাজনীতিতে ঢেউ তুলেছে। এই পোস্টার প্রকাশ্যে আসতেই তামাম বিরোধী দল অক্সিজেন পেয়েছে। তাই কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের উপর এখন চাপ তৈরি করে রাখতে চাইছে সবাই। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনে সাড়া না দেওয়া এবং নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থি🦹ত থাকার মধ্য দিয়েই চাপ বাড়ানো হয়েছে। এবার বিরোধী দলগুলির বৈঠকের মধ্যে দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে চাপ তৈরি করতে চাইছেন তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচন ভিন্ন বিষয়। ইতিমধ্যেই বাংলা থেকে ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন অমিত শাহ। তার পাল্টা ৪০টি আসন জেতার কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে চাইছে আঞ্চলিক দলগুলি। এবার এই নতুন পোস্টার সেই সাক্ষ্যই বহন করছে। যার যেখানে শক্তি সে সেখানে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে পারলেই দিল্লিতে বিজেপির বিদায় সম্ভব। এই সূত্র দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন স♌েটাতেই কাজ করতে চাইছেন বাকিরা। যদিও তাঁদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে? সেটা এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।