দীপাবলির রাতে এমন আবহ অনুভব করা যায়। কিন্তু তাছাড়াও যে এমন আবহ শীতের সময় হতে পারে স♕েটা অনেকে কল্পনাই করতে পারেননি। বর্ষবরণের আবাহনে ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা স্পর্শ করতেই শুরু হল দেদার বোমাবাজি। তুমুল শব্দব💎াজির তাণ্ডবে কেঁপে উঠল তিলোত্তমার রাজপথ। তবে শুধু শহরে নয় শহরতলি এবং গ্রামবাংলাতেও দেদার বোমাবাজি হল। এমনকী অনেক জায়গায় দীপাবলিকেও চ্যালেঞ্জ জানাল এই বর্ষবরণের বোমাবাজি। সর্বত্রই শব্দবাজির দাপট দেখা গেল। রাত যত বাড়ল পাল্লা দিয়ে তত বাড়ল শব্দদূষণের মাত্রা। হাসপাতাল চত্বরের সঙ্গে শিল্পাঞ্চল এভাবেই কেঁপে উঠল বর্ষবরণের রাতে।
এদিকে বর্ষবরণে এমন করার প্রয়োজন নেই বল🌌ে কোনও সচেতনতা প্রচার হয়নি। তাই দীপাবলির নিষেধাজ্ঞার যেন প্রতিশোধ নিতে দেখা গেল বঙ্গে। এমনিতেই সারাবছর দূষণের দাপট সহ্য করতে হয় মহানগরীকে। এবার তা আরও বেশি করে সহ্য করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই বোমাবাজির জেরে বাতাসে দূষণ ছড়িয়ে পড়ল। অথচ এই দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই কালীপুজো, দীপাবলিতে সবুজ বাজির আগমন ঘটেছে। সেখানে দূষণের গণ্ডি ভাঙার তালিকায় ঢুকে পড়ল বর্ষবরণের রাত। রবিবার কল্লোলিনী কলকাতার কপালে জুটল শুধুই শব্দদূষণ। তার সঙ্গে ‘ডিজে বক্স’ বেজ𒊎ে ওঠায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। শব্দবাজির সঙ্গে ফেটেছে আতসবাজিও। তাই বাতাসে দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যান বলছে, রবিবার রাত ১২টার পর থেকে নিউমার্কেট চত্বরে শব্দের পারদ চড়েছিল ৭৬.৪ ডেসিবেলে। তখন ওই এলাকায় থাকার কথা ৬৫ ডেসিবেলের নীচে। তাহলে এত বাড়ল কেমন করে? কোনও নজরদারি কেন করা হল না? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কসবা এলাকায় রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত শব্দদূষণের মাত্রা থাকা উচিত ছিল ৭০ ডেসিবেল। রবিবার রাত ১২টার পর সেটা পৌঁছে গᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𓆉ᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚেল ৮৭.৫ ডেসিবেলে। বাগবাজার এলাকাতে শব্দদূষণ তীব্র আকার ধারণ করল। সেখানে থাকার কথা ৪৫ ডেসিবেল। আর দেখা গেল দূষণের মাত্রা পৌঁছেছিল ৭০.৩ ডেসিবেলে। বিরাটিতে দূষণ ৮৩.৭ ডেসিবেলে। পাটুলি ৬৫.৭ ডেসিবেল। তাহলে শহরের লাভ হল কোথায়?
আরও পড়ুন: নোবেলজয়ী অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুসের ৬ মাসের জেল, রায় দিল ঢাকা শ্রম আꦅদাল🐭ত
এছাড়া শহরের হাসপাতাল এলাকাগুলি ‘সাইলেন্স জোন’ রাখা হয়।🎶 সেখানে বর্ষবরণের শব্দেরꦫ মাত্রা ৪০ ডেসিবেলও ছাড়িয়ে গেল। এসএসকেএম হাসপাতাল এলাকায় রাত ১২টার পর শব্দদূষণ ছিল ৫০.৯ ডেসিবেল। আরজি কর এলাকায় ৬০.৮ ডেসিবেলে পৌঁছল। এই ঘটনা নিয়ে পরিবেশবিদরা জানান, শীতের রাতে এমনিতেই দূষণ বেড়ে যায়। তার উপরে আতসবাজি এবং শব্দবাজির ধোঁয়ায় সেটা আরও বাড়ল। তার সঙ্গে ডিজে এবং শব্দবাজি বাড়তি উপদ্রব চালাল।