রেশন দুর্নীতিতে EDর হাতে♛ গ্রেফতার দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুর ও তাঁর দাদা আলিফের কাছ থেকে দফায় দফায় ১.৬৪ কোটি টাকা নিয়েছেন জেলবন্দি প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে ইডি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২ দফায় এই টাকা গিয়ে জ্যোতিপ্রিয়র হাতে। তার মধ্যে কিছু টাকা গিয়েছে নগদে। যদিও এই লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার🎀 করেছেন ধৃতরা।
আরও পড়ুন - গ্রেফতারিরဣ পর হাসপাতালে বসেও রেশন দুর্নীতির টাকার বখরা নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়: ED
পড়তে থাকুন - বারো বছরের পুরনো ꧟ঘটনায় নবদ্বীপে ইসকনের প্রাক্তন আধিকারিককে গ্রেফতার ক𒉰রল পুলিশ
ইডি জানিয়েছে, আনিসুর ও আলিফের কাছ থেকে ২ দফায় ১.৬৪ কোটি টাকা নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর মধ্যে ৯৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে নগদে। ৭০ লক্ষ টাকা জ্যোতিপ্রিয়র বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো হয়েছে। কী কারণে ২ ভাই এই টাকা জ্যোতিপ্রিয়কে পাঠিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ইডি জানিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র হিসাবরক্ষক শান্তনু ভট্টাচার্যই এই ২ ভাইয়ের হিসাব দেখভাল করতেন। তা♛ঁর কাছ থেকে এই সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে অভিযুক্তরা এই লেনদেনের কথা স্বীকার করেনি।
ইডি আরও জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান আনিস𒆙ুরকে ৯০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন। কেন সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। ধৃত আনিসুর বাকিবুরের মামাতো ভাই। বাকিবুরের মাধ্যমেই তাদের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়র সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বৃহসﷺ্পতিবার দিনভর জেরার পর রাতে আনিসুর ওরফে বিদেশ ও আলিফ ওরফে মুকুলকে গ্রেফতার করে ED. তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, চাষিদের থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া ন্যূনতম মূল্যের থেকে কম দামে ধান কিনত ২ ভাই। তার পর নিজেদের চাষি সাজিয়ে সেই ধান ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে বিক্রি করত সরকারকে। ধৃতদের চালকলে তল্লাশি চালিয়ে সরকারি স্ট্যাম্প উদ্ধার করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, নিজেদের চালকলের কর্মীদের চাষি সাজিয়ে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করেছে ২ ভাই। সব মিলিয়ে তারা ৪৫ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন - স্কুলের মিড - ডে মিলের চাল চুরি কর𓄧তে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ল তৃণমূল নেতা
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর SSKM হাসপাতালে জেলবন্দি বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে প্রিয়দর্শিনী। তখন জ্যোতিপ্রিয় তাঁকে একটি চিরকুটে কিছু লিখে দেন। সেই চিরকুট প্রিয়দর্শিনীর কাছ থেকে উদ্ধার করেন হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র ঘরের সামনে পাহারায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। সেই চিরকুটে ছিল ‘মুকুল’ নামে এক ব্যক্তির উল্লেখ। পরে গোয়েন্দারা শান্তনু ভট্টাচার্যকে জেরা করে জানতে পারেন, মুকুল আসলে আনিসুরের দাদ𒉰া আলিফ নুর। ওই চিঠিতে নাম ছিল শেখ শাহাজাহান ও শংকর আঢ্যরও।