থানায় অনুপস্থিত থাকাকালীন সেখানকার এবং সেই থানার অধীনস্ত এলাকার খবরাখবর নিতে এখন আর কেবলমাত্র সহকর্মীদের উপর নির্ভর করতে হবে না কলকাতা পুলিশের আওতাধীন থানাগুলির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বা ওসিদের।এবার থেকে থানায় সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও যখন খুশি এবং যেখান থেকে খুশি থানার ভিতর ও বাইরে এবং স্থানীয় এলাকার উপর নজর রাখতে পারবেন তাঁরা।আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুসারে, এর জন্য প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছেন কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসিরা। তাঁরা তাঁদের স্মার্ট ফোনে একটি বিশেষ অ্য়াপ ডাউনলোড করছেন।তারপর সেই অ্যাপের সাহায্যেই ওই স্মার্টফোনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি সংযুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই আবার থানার ভিতর ও বাইরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন জায়গায় লাগানো নজরদারি ক্যামেরারও সংযোগ রাখছেন নিজেদের স্মার্টফোনে।দাবি করা হচ্ছে, এর ফলে ঘটনাস্থল বা থানায় অনুপস্থিত থাকলেও যেকোনও পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হবে ওসিদের।অনেক সময়েই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এমনকী, থানায় কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে আমজনতা এবং পুলিশের তরফ থেকে নানা ধরনের দাবি, পালটা দাবি করা হয়।এই সমস্ত ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরার সংযোগ ওসির স্মার্টফোনে থাকলে পদক্ষেপ দ্রুত করা যাবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশের এলাকায় সব থানাতেই নজরদারির জন্য ২০-২৫টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেইসব ক্যামেরায় বন্দি দৃশ্য থানা এবং ডিভিশন অফিস থেকে স্ক্রিনে দেখা যায়। আপাতত সেই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই নজরদারি চালানো হয়।কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য লালবাজার থেকেও থানার দৃশ্য সরাসরি দেখতে পাওয়া যায়। এবার সেইসমস্ত দৃশ্য ওসিদেরও নাগালে থাকবে।আনন্দবাজারে প্রকাশিত সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই একাধিক থানার ওসি নতুন পদ্ধতিতে নিজেদের থানা ও সংশ্লিষ্ট এলাকার উপর প্রায় সর্বক্ষণ নজর রাখতে শুরু করে দিয়েছেন।লালবাজারের ওই কর্তা আশা করেছেন, দ্রুত অন্য়ান্য থানার ওসি-রাও এই নয়া ব্যবস্থাপনায় অভ্যস্থ হয়ে উঠবেন।প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশকে আধুনিক করে তুলতে বিভিন্ন সময়েই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে প্রযুক্তির সহযোগিতা। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন হল মোবাইল অ্য়াপের মাধ্যমে ওসিদের এই সরাসরি নজরদারি।আগামী দিনে এর সুফল পাওয়া যাবে বলেই আশা করছে কলকাতার পুলিশ মহল।