ভুবনেশ্বরগামী একটি এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বলে জানা যায়। মাঝ আকাশে বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানযাত্রীরা মাঝ আকাশে একটি বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পান। এরপরই বিমানটি ভুবনেশ্বর না গিয়ে কলকাতায় ফিরে আসে। উল্লেখ্য, বিমানটি কলকাতার দমদম বিমানবন্দর থেকেই ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ভুবনেশ্বর হয়ে বিমানটির বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা ছিল। (আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে উড়ে গেল বিমানের অংশ! বাতাসের টানে ছিঁড়ল যাত্রী𒅌র জামা, উড়ল ফোন)
আরও পড়ুন: কুয়াশায় যাত্রীদের ঝু🌺ঁকিতে ফেলছে ২ উড়ান সংস্থা? নোটিশ হাতে ধরাল DGCA
রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতা-ভুবনেশ্বর-বেঙ্গালুরু আই৫ ১৫৬৩ উড়ানটি সোমবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ দমদম বিমানবন্দর থেকে টেকঅফ করেছিল। নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে বিমানটি ছেড়েছিল। সেই টেকঅফ মসৃণ ভাবেই হয়েছিল বলে দাবি করেছেন বিমানে থাকা যাত্রীরা। তবে বিমানটি আকাশে উড়ে যাওয়ার প্রায় আধঘণ্টা পর ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিমানের যাত্রীরা কিছু একটার বিস্ফোরণ শুনতে পান বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। সেই সময় বিমানে থাকা এক যাত্রাী টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, 'হঠাৎ করেই বি𒈔মানে কিছু একটা ফেটে যাওয়ার মতো বিস্ফোরণের আওয়াজন শুনতে পাই। এরপর বিমানটি টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে। সেই সময় বিমানসেবিকা খাবার পরিবেশন করছিলেন। তবে এই🦄 ঘটনার পর তড়িঘড়ি তিনি নিজের আসনে ফিরে গিয়ে সিটবেল্ট লাগিয়ে নেন।'
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণের আওয়াজ হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর বিমানের পাইলট ঘোষণা করেন, বিমানের ইঞ্জিনে 'যান্ত্রিক গোলযোগ' দেখা দিয়েছে। এই আবহে বিমানটি গন্তব্যের উদ্দেশে না গিয়ে কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হবে। এরপর সন্ধ্যা প্রায় ৬টা ৫ মিনিট নাগাদ বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরের মাটি ছুঁয়ে ফেলে। জরুরি অবতরণ নিরাপদেই হয়। এরপর বিমানটির দিকে ছুটে যান ইঞ্জিনিয়ার এবং উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড স্টাফরা। এক যাত্রীর বয়ানে, সেখানে দমকলের ইঞ্জিনও হাজির ছিল। যাত্রীদের সেই সময় বিমানেই থাকার অনুরোধ করা হয় এবং আতঙ্কিত হতে বারণ করা হয়। বিমানটি জরুরি অবতর🎶ণ করার প্রায় ৪৫ মিনিট পরে যাত্রীদের বিমান থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। ততক্ষণে আধিকারিকরা বিমানটি পরীক্ষা করেন। এরপর যাত্রীদের একে একে বিমান থেকে নামিয়ে আনা হয়। এরপরও সেই বিমানটির পরীক্ষা চলতে থাকে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই আতঙ্কিত এবং উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন অনেক যাত্রী। টার্মিনালে তাঁদের শান্ত করতে গিয়ে নাকাল হচ্ছিলেন উড়ান সংস্থার কর্মীরা। পরে একটি পৃথক বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। রাত ৮টা নাগাদ সেই বিমানটি যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
এরপর ঘটনা প্রসঙ্๊গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের তরফ থেকে। এই নিয়ে সংস্থার মুখুপাত্র বলেন, 'কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বরগামী আমাদের একটি বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। তাই সেটি সতর্কতামূলক ভাবে কলকাতায় ফিরে আসে এবং নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে আমরা বিকল্প উপায় বের করি। এই পরিস্থিতির জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, যাত🌌্রীসুরক্ষাই আমাদের সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার।'