দুর্গা পুজোর পরেই আসবে দেওয়ালি, কালীপুজো। আর কালীপুজো মানেই তো শব্দবাজির তাণ্ডব। প্রতিবারই এই শব্দবাজি রুখতে নানা রকমের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, ধরপাকড় করা হয় কিন্তু তার আড়ালেই চলে অবৈধ বাজি বিক্রির রমরমা কারবার। এবারও সেই শব্দবাজি রুখতে আগাম সতর্ক করল পুলিশ।
এদিকে প্রতিবারই কালীপুজোর আগে কলকাতা সহ রাজ্যেরꦦ বিভিন্ন এলাকায় বাজ💦ির বাজার বসে। তবে এবারও সেই বাজি বাজারের অনুমতি দেওয়ার আগে একাধিক নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়ম না মানলে কোনওভাবেই বাজির বাজারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এক্ষেত্রে যে নিয়মগুলি বিশেষভাবে মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে তার মধ্য়ে অন্যতম হল বাজি বাজারের দুটি দোকানের মধ্য়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখতেই হবে। একেবারে গা ঘেঁষে দুটি দোকান করা যাবে না। কোনওভাবেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি করা যাবে না। শব্দবাজি বিক্রির আড়ালে কোনওভাবেই সবুজ বাজি বিﷺক্রি করা যাবে না। সেই সঙ্গেই বাজি বাজারের কাছে অ্যাম্বুল্যান্স মজুত রাখতে হবে। দমকলের গাড়ি রাখতেই হবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার বিভিন্ন বাজি বিক্রেতাদের সঙ্গেꦺ কলকাতা পুলিশের কর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। নিয়ম মানার কথা বার বার বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই নির্দি🍬ষ্টভাবে বলে দেওয়া হয়েছে কেউ যদি নিয়ম না মানেন তবে বাজি বাজার তৈরির অনুমতি দেওয়া হবে না।
এদিকে কালীপুজোর সাতদিন আগে থেকেই কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বাজির বাজার বসে। কালিকাপুর🧜, বেহালা🐭, শহিদ মিনার, টালা সহ বিভিন্ন জায়গায় এই বাজির বাজার বসে। তবে মূল সমস্যাটা হল লুকিয়ে চুরিয়ে শব্দবাজি বিক্রি করা হয়। সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করতে চাইছেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা।
স্টল তৈরির ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়ম মানতেই হবে। এক্ষেত্রে টিনের কাঠামোর উপর জোর দিতে হবে। সেই সঙ্গেই অগ্নিনিরোধক ত্রিপল ব্যবহার করতে হবে। কলকাতার ক্ষেত্রে 🍎কলকাতা পুলিশ আগাম খতিয়ে দেখবে সব নিয়ম মানা হচ্ছে কি না। তারা সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনও করবে। তারপর বাজি বাজার তৈরির ছ𓂃াড়পত্র মিলবে।
এদিকে প্রতিবারই দেখা যায় কালীপুজোর দিনে গোটা বাংলাজুড়ে দেদারে শব্দবাজি ফাটছে। এনিয়ে ধরপাকড়ও কিছু কম হয় না। কি𓄧ন্তু তারপরেও নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিক্রি আটকানো যায় না। তবে এবার এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। এনিয়ে বাজি বিক্রেতাদেরও সতর্ক করা হꦅয়েছে।