পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ নিয়ে নানা সময় বিতর্ক♛ দেখা দিয়েছে। মুকুল রায় থেকে কৃষ্ণ কল্যাণী হয়েছিলেন এই পদের চেয়ারম্যান। কিন্তু এখন কৃষ্ণ কল্যাণী লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। তাই তাঁকে ওই পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। কে এই পদের দায়িত্বে আসবেন? উঠছে প্রশ্ন। তবে এবার বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলা𝓀ল বলে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর মিলেছে। যদিও এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
তবে সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপির বিধায়ক। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেও বিধায়ক পদ ছাড়েননি। সুতরাং নিয়ম অনুযায়ী, বিরোধী দলের বিধায়কই হত🎃ে চলেছেন সুমন কাঞ্জিলাল। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় বিরোধী দলের কোনও বিধায়ককে। সেই নিয়ম রক্ষিত হবে। সুমন𝕴 কাঞ্জিলাল ২০২১ সালে আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জয়ী হন তিনি। আর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তবে খাতায় কলমে এখনও তিনি বিজেপি বিধায়ক। সেক্ষেত্রে তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দায়িত্ব দিলে কোনও বাধা নেই।
আরও পড়ুন: রণদীপ স﷽িং সুরজেওয়ালার জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন, হেমা মালিনী সম্পর্কে মন্তব্যের জের
এই পদে আগে যাঁরা দায়িত্বে এসেছিলেন তাঁদের নিয়ে বিতর্ক তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির দায়িত্ব✃ে একদা ছিলেন মুকুল রায়। এখন তিনি অসুস্থ হয়ে গৃহবন্দি। পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে মুকুল রায় ইস্তফা দিয়েছিলে🌟ন ২০২২ সালের জুন মাসে। তারপর মুকুল রায়ের জায়গায় আসেন বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার আসতে চলেছেন সুমন কাঞ্জিলাল বলেই সূত্রের খবর। আর এটা যদি হয় তাহলে বিজেপি আরও একটা ধাক্কা খাবে। এখন সুমন কাঞ্জিলাল লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত। কৃষ্ণ কল্যাণীও তাই।
এই লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। প্রার্থী হয়ে গেলে এই ধরনের কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকতেཧ পারেন না কেউ। তাই তাঁকে ছাড়তে হয়েছে পিএসি’র পদ। সুতরাং পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এই নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের মোক্ষম জবাব দিতেই এবার সুমন কাঞ্জিলালের কথা ভাবা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই নিয়ে এখনও কোনও সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। সুমন কাঞ্জিলালও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। ২০২৩ সালে ৫ ফেব্রুয়ারি ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন সুমন কাঞ্জিলাল।