প্রতি বছর ভোট আসলেই প্রচুর সংখ্যক সরকারি এবং বেসরকারি বাস ভাড়া করে নির্বাচন কমিশন। আধিকারিক, পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যাতায়াত এবং অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী পরিবহণের জন্য এই সমস্ত বাস ভাড়া করে থাকে ক🌸মিশন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন 🦋কমিশন। ফলে প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন কমিশন বাস ভাড়া নেবে। তার আগে ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানালেন বেসরকারি বাস মালিকরা।
বেসরকারি বাস মালিক❀দের দাবি, বর্তমানে ডিজেল, পেট্রোলের দাম অত্যধিক হারে বেড়েছে। কিন্তু সেই হিসেবে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের কাজ যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ অনেক জায়গায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। সেক্ষেত্রে বাস ভাঙচুরও করা হয়। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ দিয়েছে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠন। সম্প্রতি রাজ্য পরিবহণ দফতরে দাবিতে দাবিপত্র জমা দিয়েছে বেসরকারি মালিকদের একটি সংগঠন। ওই সংগঠনের🎃 নেতা টিটু সাহা জানিয়েছেন, ‘আমরা বাসভাড়া দিতে চাইছি। বাস ভাড়া দেব না, সেকথা আমার কখনই বলিনি। তবে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আমাদের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘বাস চালাতে গিয়ে নিত্যদিন খরচ বেড়েই চলেছে। এমন অবস্থায় সরকারের উচিত আমাদের দাবিগুলি মেনে নেওয়া।’
বেসরকারি বাস মালিকদের বক্তব্য, বেস🐽রকারি বাসের ক্ষেত্রে কমিশন ꧑দৈনিক ২,৩০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে থাকে। তবে খরচ বাড়ায় এবার সেই ভাড়া বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করতে হবে। সম্প্রতি বাস মালিকরা পরিবহণ দফতরে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট। সেক্ষেত্রে তারা দৈনিক বাস ভাড়া সাড়ে ৩ হাজার করার দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকাকালীন ডিজেল, মবিল ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে। তাছাড়া, রাজ্যকে অগ্রিম ৭৫% টাকা দিতে হবে এবং বাসের শ্রমিকদের ৩০০ টাকা করে পারিশ্রমিক দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে।
পাশপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া কেটে গেলে ১৫ দিনের মধ্যে বাকি টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। সংগঠনের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা সরকারের নির্দেশ মেনে বাস ভাড়া পাঠাব। তাই সরক🐓ারকেও আমাদের দাবি মানতে হবে। ভাড়া না বাড়লে সমস্যায♑় আমরা সমস্যায় পড়ব।’