কোভিডের পর পরই সেই যে বাসভাড়া বাড়ল তা আর কমার নাম নেই। এর জেরে রোজই আগের তুলনায় বর্ধিত ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। মানে বাসে উঠলেই ১০ টাকা। আপনি যেখানেই যান না কেন আপনাকে ১০ টাকা দিতেই হবে। তবে এর আগে কিছুটা কম ভাড়া দিতে হত। এরপর ধাপে ধাপে ভাড়া দূরত্ব অনুসারে বাড়ত। তবে এবার এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হতে পারে বলে খবর।ঠিক কী হয়েছে ব্যাপারটি?কোভিডের পরবর্তী সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে বাস ভাড়া কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে তার আগে থেকেই একাধিক বাস ভাড়ার তালিকাকে বুড়ো আঙুল দেখানো শুরু করে। তেলের দাম বেড়েছে এই অজুহাতেও অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল। এমনকী খুচরোর সমস্যা রয়েছে এই কথা বলেও অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়ার প্রবনতা রয়েছে। তবে এবার এনিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হতে পারে শীঘ্রই। তার অনুমতিও মিলেছে।এদিকে সূত্রের খবর, এর আগেও জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল এনিয়ে। এরপর আগের ভাড়া নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু সেই নির্দেশকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি রাজ্যের পরিবহণ দফতর। অভিযোগ এমনটাই। সেই সঙ্গেই বিভিন্ন বেসরকারি বাসও তাদের ইচ্ছামতো ভাড়ার তালিকা ঠিক করে ফেলে। এর জেরে বাসে উঠলে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা লেগেই আছে। তবে এর কোনও সহজ সমাধানও হয়নি এতদিন ধরে। এবার ফের বাস ভাড়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানির সম্ভাবনা।সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে এই মামলা দায়ের হবে। সেই মামলার শুনানিও হতে পারে আগামী সপ্তাহেই। সেক্ষেত্রে এই মামলায় শেষ পর্যন্ত বেসরকারি বাস মালিকদের পক্ষ থেকে কী দাবি করা হয় সেটাও দেখার। সেই সঙ্গেই সরকারি পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটাও দেখার। তবে সাধারণ যাত্রীদের একটাই প্রশ্ন তবে কি এবার বাস ভাড়া কমবে? সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। কারণ প্রতিদিনই তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে। যে ভাড়া বাড়ছে তা আর কমার কোনও লক্ষণ নেই। কেন আগের নির্দেশ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে রাজ্য পরিবহণ দফতর বিশেষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাস যাত্রীদের অনেকেই।