কলকাতার ফুটপাতে একটা সময় কার্যত চোর পুলিশ খেলা চলত। অর্থাৎ পুলিশ এসে মাঝেমধ্যে হকারদের ܫসরিয়ে দিত। আর পুরসভা, পুলিশের গাড়ি সরে গেলেই আবার যে কে সেই। কিন্তু মঙ্গলবার শহর জুড়ে যে ছবি দেখা গে💙ল তা চমকে দেওয়ার মতোই।
শেষ কবে এমন ফাঁকা , হকারমুক্ত ফুটপাত দেখা গিয়েছে তা মনে করতে পারছেন না অনেকেই। বা🐓ংলার মুখ্য়মন্ত্রী সোমবার নবান্নে ধমক দিয়েছিলেন। জায়গা দখল, ফুটপাত দখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। আর মঙ্গলবার আলো ফুটতেই ফুটপাতকে হকার মুক্ত করতে বেরিয়ে পড়ল পুলিশ।
শ্য়ামপুকুর থানার পক্ষ থেকে বিধান সরণি এলাকায় বেরিয়ে পড়ে পুলিশ। একের পর এক দোকানকে সতর্ক করা হয়। পথচারীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেটার জন্য বলা হয়। হাতিবাগান এলাকায় পুলিশ হকারদের বার বার সতর্ক করে। এদিকে কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় যে পুলিশ আসছে দেখে কিছু মালপত্র ভেতরে নিয়ে নেন হকাররা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তাঁরা এভাবেই ব্যবসা করে আসছেন। সেক্ষেত্রে আচমকা তাঁদের তুলে দিলে কোথায় যাবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
অন্যদিকে গড়িয়াহাটে একাধিক অস্থায়ী দোকানকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। ব্যবসায়ীদের একাংশ তাঁদের মালপত্র সরিয়ে নেন। কিন্তু আচমকা এই পুলিশি অভিযানে তাঁরা কিছুটা হলেও হতচকিত। এদিকে আর কয়েক মাস বাদেই পুজো। সেক্ষেত্রে এখন ফুটপাত থেকে সরে যে💛তে বলায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে অনেকের মাথার উপর।
কিন্তু পথচারীদের অনেকেরই প্রশ্ন এই তৎপরতা কতদিনের জন্য? কতদিন এমন ঝকঝকে হকারমুক্ত থাকবে কলকাতার ফুটপাত? সামনেই মানিকতল✅া উপনির্বাচন হতে পারে। ত🌸ার আগে শহরবাসীর মন জয় করার জন্যই কি এই তৎপরতা? অন্যদিকে এক পথচারী এদিন জানিয়েছেন, ফুটপাত দিয়ে চলাফেরার জায়গা থাকে। প্রতিবাদ করতে গেলে বলা হয় পা ভেঙে দেব।
তবে অনেকের মতে, ফুটপাত দখলের পেছনে রয়েছে একাধিক অবৈধ লেনদেন। সকলকে তুষ্ট করেই তারপর ফুটপাতে ব্যবসা করতে হ🌠য়। সেক্ষেত্রে আচমকা এই অভিযানের জেরে কিছুটা হলেও অবাক হয়েছেন হকারদের একাংশ।
গড়িয়াহাটের যদু বাবুর বাজার এলাকা, ধর্মতলা, এসএসকেএম সংলগ্ন এলাকায় এদিন হকার উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে। একাধিক জায়গায় দেখা যায় গ্যাসের সিলিন্ডার, ফলের ঝুড়ি, ꦚজামাকাপড় সব নিয়ে ভ্য়ানে তুলছে পুলিশ।
দেবরাজ ঘোষ, গড়িয়াহাট হকার্স ইউনিয়নের জেনারেল♏ সেক্রেটারি জানিয়েছেন, যে নিয়ম ভাঙবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ যদি কোনও ব্যবস্থা নেয় তবে ইউনিয়ন কোনও বিরোধ করবে না। কোনও আপত্তি করবে না।