নীচুতলার পুলিশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাত করার অভিযোগ তুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই জেলা এবং কলকাতা পুলিশে কাঁপনি ধরে গিয়েছে। তাছাড়া জেলায় এবং শহর কলকাতায় এমন কিছু ঘটে গিয়েছে যার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী 🌄হাতে। তাই আইনশৃঙ্খলাকে সঠিক স্তরে পৌঁছে দিতে আবার রদবদল করলেন কলকাতা পুলিশে। শুক্রবার কলকাতা পুলিশের পাঁচ ইন্সপেক্টরকে বদলি করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। বদল আনা হয়েছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগেও। আর জেলার ক্ষেত্রে বারাবনি থানার সাব ইন্সপেক্টরের উপর কোপ পড়েছে। এবার ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’–এ পাঠানো হল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষকে। গতকাল ভবানী ভবনের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ভবানী ভবনে রিপোর্ট করতে হবে তাঁকে।
এই একই দিনে এমন সিদ্ধান্ত পুলিশমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া হওয়া সম্ভব নয়। তার উপর এই নীচুতলার পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে নবান্নে বসে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপর থেকেই নড়ে যাচ্ছে পুলিশ মহল। গোয়েন্দা বিভাগের ইন্সপেক্টর সৌম্য ঠাকুরকে বদলি করা হয়েছে মুচিপাড়া থানায়। সেখানের ওসির দায়িত্বে তিনি। ময়দান থানার অতিরিক্ত ওসির পদে ছিলেন দীপঙ্কর বিশ্বাস। তাঁকে বদলি করা হয়েছে লেদার কমপ্লেক্স থানায়। দীপঙ্কর বিশ্বাসের জায়গায় ময়দান থানার অতিরিক্ত ওসি হলেন ইন্সপেক্টর শেখ সাℱবিরউদ্দিন।𓆉 তিনি কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাহুল গান্ধীর থেকে ভাল নেতা মনে করি’, দিলীপের কথায় অস্বস্তি
এখানেই শেষ নয়, আরও রদবদল হয়েছে। লেদার কমপ্লেক্স থানার অতিরিক্ত ওসির দায়িত্ব পেয়েছেন ইন্সপেক্টর অনুপম চট্টোপাধ্যায়। আর ইন্সপেক্টর রাজীব চট্টোপাধ্যায়কে লেদার কমপ্লেক্স থানা থেকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে স্পেশাল ব্রাঞ্চে। সুতরাং পাঁচ পুলিশ অফিসারের পদে রদবদল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি জানান, টাকার বিনিময়ে কয়লা এবং বালি পাচারের মতো অবৈধ কারবারে সাহায্য করছে কেন্দ꧋্রীয় বাহিন🍷ী এবং পুলিশের নিচুতলার একটা অংশ।
এই অভিযোগ তোলার পর এমন রদবদল তাৎপর্যপূর্ণ। বারাবনি থানার সাব ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে। কলকাতা পুলিশে রদবদল হয়। সিআইডি ঢেলে সাজাবেন বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশের ওয়েলফেয়ার কমিটির কনভেনর বিজিতশ্ব রাউত রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেন। আর তারপরই শুক্রবার রাজ্য পুলিশ একটি নির্দেশিকা জারি করে। আর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেন, ‘কয়লা চুরি করবে সিআইএসএফ এবং পুলিশের একাংশ, আর দোষ হবে তৃণমূলের? এই জিনিস আমি টলারেট করব না। রাজনৈতিক নেতা ৫ টাকা খেলে বলা হয়🐭 ৫০০ টাকা খেয়েছে। তাদের রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। নিচুতলার কিছু অফিসার ও পুলিশের কিছু লোক, যারা সরকারকে ভালবাসে না, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থটা দেখে।’