২রা মে থেকে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। কিন্তু যার জন্য ছুটি সেই গরমের দাপটই কার্যত কার্যত উধাও বাংলা থেকে। গরম থেকে বাঁচার জন্য যে গরমের ছুটি তা আদৌ কতটা কাজে লাগছে পড়ুয়াদের জন্য তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।অনেকের মতে, কিছুদিন আগে বাংলায় মারাত্মক গরম পড়েছিল। মূলত এপ্রিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে বাংলার গরম একেবারে লাগামছাড়া হয়ে যায়। একেবারে ৪২ ডিগ্রিতে চলে যায় পারদ। তার জেরে বাচ্চাদের সুরক্ষা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে স্কুল বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার স্কুলগুলি ছাড়া ২ রা মে থেকে রাজ্য জুড়ে সরকারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। অভিভাবকরাও এনিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। কারণ তাঁদের মতে, নতুন সেশন শুরু হয়েছে। আর আচমকাই পড়াশোনা লাটে তুলে বন্ধ হয়ে গেল স্কুল।এদিকে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি আরও অন্যরকম। সেখানে গরমের দাপটের কোনও ব্যাপারই নেই। কিন্তু সেখানেও কিছু জেলায় গরমের ছুটি উপভোগ করছে পড়ুয়ারা। এদিকে কলকাতাতে বুধবারও সকাল থেকে আকাশ ছিল মেঘলা। রোজই দুপুর হতেই ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যাচ্ছে আকাশ। সঙ্গে শুরু হচ্ছে বৃষ্টি। আর বাইরে যখন গরমের দাপট উধাও তখন ঘরে বসে গরমের ছুটিতে অলস সময় কাটাচ্ছে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের পড়ুয়ারা।এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে একাধিক বেসরকারি স্কুল কিছুটা ধন্ধের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। কলকাতার প্রচুর বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা বুধবারও স্কুলে গিয়েছে। এরপর স্কুল থেকে ফেরার পথে তুমুল বৃষ্টি। গরমের কোনও ব্যাপার নেই। সেক্ষেত্রে কিছু বেসরকারি স্কুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১৮ মে থেকে তাদের গরমের ছুটি পড়তে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আবহাওয়ার পরিস্থিতি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর। কারণ এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে তারা একদফা ছুটি দিয়েছিল। সেকারণে গরমের ছুটি পড়া নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক পদক্ষেপ নিচ্ছে বেসরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা।তবে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারও দক্ষিণ ও উত্তরের জেলাগুলোতে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। উত্তরবঙ্গে ৬ মে পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি চলবে। তবে ৬ মের পর থেকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।