আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার দাবি উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ রোজ ꦫরাজপথে মিছিল, ধরনা করছেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা ঘটার একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তবে তদন্তে নতুন কিছু উঠে এসেছে কিনা সেটা সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হবে। এই আবহে রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে একবছর আগেই সতর্ক করেছিল সিএজি বা ক্যাগ বলে সূত্রের খবর।
এদিকে সদ্য সাসপেন্ড হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক–নেতা অভীক দে। তাঁর ছত্রচ্ছায়াতেই এই দুর্নীতি বেড🐟়েছিল বলে অভিযোগ। অভীকের নাম উঠছে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের ক্ষেত্রে। আর সন্দীপ ঘোষ তো গ্রেফতার হয়েছেন দুর্নীতির অভিযোগে। তিনি আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ ছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, একবছর আগেই ক্যাগের অডিট রিপোর্টে রাজ্যের নানা সরকারি হাসপাতালের অনিয়মের খবর উঠে এসেছিল। ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে চিঠি দিয়ে এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন প্রিন্সিপ্যাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। তারপরও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: জেএনএম থেকে এমবিবিএস পাশ করেন নির্যাতিতা, সেখানের দুর্নীতিতে অভীকের নাম উঠছে!
একবছর আগে রাজ্যের ৬টি মেডিক্যাল কলেজ এবং কয়েকটি জেলা হাসপাতালে অনুসন্ধান চালায় ক্যাগ। যার মধ্যে ছিল—এসএসকেএম, জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ, বসিরহাট, মেদিনীপুর এবং পুরুলিয়া ডিস্ট্রিক্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে আর্থিক অনিয়ম এবং দুর্নীতি ধরা পড়েছিল বলে সূত্র🔯ের খবর। ক্যাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের মোট ৪২টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মোট ৪৪৫০ ধরনের যন্ত্রপাতি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম আছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। সেগুলি সারা বছর রক্ষণাবেক্ষণ করতে চুক্তি হয় একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে। সেখানে অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ।