আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার জেরে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি নানা হাসপাতালে অচলাবস্থা চলছে। প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে নেমেছেন চিকিৎসকরা। আর তখনই দিনভর একের পর এক হাসপাতালে ঘুরলেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। ১০ ঘণ্টায় ৮টি হাসপাতালে ঘুরলেও কোথাও তিনি𒆙 ভর্তি হননি। সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ঘুরলেন রাত ৯টা পর্যন্ত। কারণ তাঁর বুকে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে তিনিই জানান। কিন্তু কোথাও ভর্তি না হলেও নানা পরীক্ষা করিয়েছেন। তাতে আবার কিছু ধরা পড়েনি। তার পর থেকেই দমদম থেকে শুরু করে সল্টলেক, আলিপুর, দক্ষিণ কলকাতা, ইএম বাইপাসের হাসপাতালে ঘুরেছেন বলে সূত্রের খবর।
বুধবার রাতেও চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষꦛ রাস্তায় নেমেছিলেন। বাড়ির আলো নিভিয়ে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে নামেন। অন্ধকারে ঢেকে যায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে 🦂রাজভবন। আর টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল হাসপাতালে গিয়ে জানান বুকে যন্ত্রণা হচ্ছে। তিনি ভর্তি হতে চান। তখনই দ্রুত তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা হয়। কিন্তু ওই পরীক্ষার পর দেখা যায় রিপোর্ট সবই স্বাভাবিক রয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁকে সে কথা জানিয়ে দেন। কোনও উদ্বেগে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তাই তাঁকে কাউন্সিলিংয়ের পরামর্শও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার নিরাপত্তার স্বার্থে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল নবান্ন, ২৮টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু
কিন্তু রিপোর্ট দেখেও শান্তি পাচ্ছিলেন না টালা থানার ওসি। কারণ রিপোর্টে সব ঠিক আছে বলা থাকলেও অস্বস্তি শরীরে হচ্ছ🍌িল। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। এই টালা থানাতেই সিবিআই অফিসাররা এসেছিলেন। এখান থেকেই নানা তথ্য তাঁরা নিয়েছিলেন। আর এখন টালা থানার ওসির রিপোর্টে লেখা আছে, কার্ডিও ভাসক্যুলার সিস্টেম পরীক্ষায় সাউন্ড ও বাকি সব স্বাভাবিক। একটি হাসপাতালের পরীক্ষার রিপোর্ট লেখা আছে, ‘ক্যোয়ারি ক্যোয়ারি প্যানিক অ্য়াটাক উইথ মাইল্ড ডিহাইড্রেশন’। আর শেষে লেখা, ‘রেফার টু হায়ার সেন্টার উইথ হাই সেট আপ’। তা নিয়ে এখন চলছে চর্চা।