ধর্ষণের নির্যাতিতার নাম, পরিচয় বা পরিবারের সদস্যদের পরিচয় কখনও প্রকাশ ꦦকরা যায় না। এটাই ♌সুপ্রিম কোর্টের রায়ে নিয়ম। তবে আজ আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমে র মুখোমুখি হন সন্দীপ ঘোষ। আর সেই সময়ই একাধিকবার নির্যাতিতার নাম মুখে নিলেন তিনি। সন্দীপ ঘোষ বলেন, 'এই ঘটনার নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করলাম। আমার নামে যে অপপ্রচার হয়েছে। নির্যাতিতা (নাম নেন সন্দীপ ঘোষ) একা ছিল কেন, নির্যাতিতা (ফের নাম নেন সন্দীপ ঘোষ) আত্মঘাতী হয়েছেন, এগুলো আমি কখনই বলিনি। আমার নামে মিথ্যা রটেছে। ডাক্তারদের মধ্যেও চোর ডাকাত রয়েছে, সেই মুখোশগুলো খুলে যাবে। আমি অর্থোপেডিক সার্জেন, আমার দুটো হাত রয়েছে, আমি কিছু করে খেতে পারব। আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, আমি বাবা হিসাবে পদত্যাগ করলাম।'
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, 'রাতে একা একা সেমিনার হলে থাকা উচিত হয়নি' নির্যাতিতা ট্রেনি চিকিৎসককে নিয়ে নাকি এমনই মন্তব্য করেছিলেন আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বহু পড়ুয়া এবং চিকিৎসক তাই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এছাড়াও এই গোটা ঘটনায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই আবহে আজ সাংবাদিক সম্মেলন ক♓রে তিনি বললেন, 'আর অপমানিত হতে পারছি না।' তিনি আরও বলেন, 'কেউ বাধ্য করেননি, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।'
আজ সাংবাদিদের সন্দীপ বলেন, 'আমার ইস্তফাই ছাত্রছাত্রীজদের কাম্য ছিল। আশা করব, এ বার ছাত্রছাত্রী, জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন। গত কয়েক দিনে বিভিন্ন 📖মাধ্যমে আমি যে কটূক্তি সহ্য করেছি, আমা☂র পরিবার, সন্তানেরা যা সহ্য করেছে, তাতে বাবা হিসেবে আমি লজ্জিত। তাই আমি পদত্যাগ করলাম। আশা করি আপানা ভালো থাকবেন। আমার মুখে কথা বসিয়ে রাজনীতির খেলা চলছে। বিরুদ্ধ গোষ্ঠী এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় নেমেছে। আমি কোনও দিন এ সব খেলা খেলিনি। আমি সরকারি কর্মচারী। শেষ মূপূর্ত পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করব। আশা করব, ছাত্রছাত্রীরা শীগ্রই কাজে যোগ দেবেন।'
এদিকে এই গোটা ঘটনায় আরজি করের অধ্যক্ষকে প্রায় ক্লিনচিটই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানান, মানসিক চাপে পদত্যাগ করা অধ্যক্ষকে অন্যত্র বদলি করা হবে। যদিও সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন তিনি সরকারি চাকরিই ছেড়ে দেবেন। এদিকে আন্দোলনকারীরা সন্দীপকে বরখাস্তের দাবি তুল🌜েছেন এবারে।