আজ, মঙ্গলবার স্নাতকস্তরের প্রথম সিমেস্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত কলেজগুলিতে এই ছবিই দেখা গিয়েছে। এবার বারবার কলেজে ভর্তির পোর্টাল খোলা হলেও ভর্তির হার অনেকটা কম। উচ্চশিক্ষা দফতরের ভর্তি নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেখানে উল্লেখ কর🐭া হয়, প্রথম দফায় ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরে যদি আসন ফাঁকা পড়ে থাকে সেক্ষেত্রে আরও দু’বার কলেজগুলি পোর্টাল খুলতে পারবে। আর ভর্তি নিতে পারবে। তাই ভর্তি প্রক্রিয়া ৩১ অগস্ট পর্যন্ত করা হয়। গত ২৬ জুলাই উচ্চশিক্ষা দফতরে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে স্নাতক স্তরে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৮ শতাংশ আসন খালি পড়ে রয়েছে।
এদিকে রাজ্যে স্নাতকস্তরে জাত𝄹ীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী চার বছরের অনার্স ডিগ্রি কোর্স চালু হয়েছে। আর চালু হয়েছে তিন বছরের ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি জেনারেল কোর্স’। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চার বছরের অনার্স কোর্সের তুলনায় তিন বছরের জেনারেল কোর্সে ভর্তির আবেদন বেশি হয়েছে। আবার অধিকাংশ কলেজে অনার্সের সেই অল্প আবেদনের মধ্যে ভর্তি হয়েছিল সামান্যই। তবে কী কারণে এমন হচ্ছে? তা জানার চেষ্টা করছে শিক্ষা দফতর। কলেজে পড়ে চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কায় এমন অবস্থা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এত খালি আসন ভাবিয়ে তুলেছে। তাহলে কি পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহ কমে গেল?
অন্যদিকে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি সংবাদমাধ্যমে জানান, 𓃲প্রথম দফায় পাঁচশোর বেশি আসন ভরেছিল। দ্বিতীয় দফায় পোর্টাল খুলেও মোট ২২৬০ আসনের মধ্যে ১৩০০টি পূরণ হয়েছে। এখন অপেক্ষা করা হচ্ছে আর কিছু পড়ুয়া ভর্তি হলেই আগামী সপ্তাহ থেকে পঠনপাঠন পুরোদমে শুরু করে দেওয়া হবে। ক্যানিং বঙ্কিম সর্দার কলেজে দ্বিতীয় দফায় ভর্তির পরেও এখানে ১২৩৬ আসনের মধ্যে পূরণ হয়েছে ৭৯৫টি আসন। ১ অগস্ট থেকে ক্লাস শুরু করার কথা ছিল। এমনই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। কিন্তু আসন যদি খালি থাকে তাহলে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ভর্তি নেওয়া যাবে। এই বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়। তাই একাধিক কলেজে এখন অল্প সংখ্যক পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দরকার পড়লে জমꦬি অধিগ্রহণ করে পুনর্বাসন’, মঙ্গলাহাট নিয়ে সুর সপ্ত🌳মে মমতার
আর কোথায় আসন ফাঁকা? হাওড়ার উলুবেড়িয়া কলেজে দ্বিতীয় দফায় পোর্টাল খোলার পরেও মোট ৫৩৪৪ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৩৪১৫ জন। মঙ্গলবার ক্লাস শুরু হয়েছে। নিউ আলিপুর কলেজে দ্বিতীয় দফায় ভর্তির পর ২৮০০ আসনের মধ্যে মোট ১২২০টি আসনে ভর্তি হয়েছে। তবে বাঘাযতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ে এখনও পর্যন্ত তিন বছরের জেনারেল কোর্সে ৭৬.৬% ভর্তি হয়েছে। চার বছরের অনার্স কোর্সে♑ ভর্তির হার ৬৯.৫%। এখনও মেধা তালিকা সম্পূর্ণ শেষ হয়নি। কলেজের অধ্যক্ষদের ব্যাখ্যা, শুরুতে অনেক কলেজে বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারা ভর্তি হন। তখন মাঝারি মানের পড়ুয়ারা ভর্তির সুযোগ পান না। তারপরে আগে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের অনেকে অন্যত্র চলে গেলে আসন খালি হয়। আর বাকিরা ভর্তির সুযোগ পান।