তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ে বিশাল সমাবেশ দেখা গিয়েছে। জনস্রোত যেন আছড়ে পড়েছে কল্লোলিনী কলকাতায়। বিরোধীরা অপেক্ষা করছিল এই বিরাট জনসভার পর শহর অপরিষ্কার থাকলে তা নিয়ে রে রে করে নেমে পড়বেন। কিন্তু দেখা গেল শহিদ সমাবেশ শেষ হতেই রবিবার সভাস্থল সাফাই অভিযানে নেমে পড়েন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। মাত্র দু’ঘণ্টা মধ্যেই পরিষ্কার করে ফেলা হয় ধর্মতলা চত্বর। তারপর ধর্মতলার সব রাস্তাত☂েই যান চলাচল স্বাভাবিক। রবিবার এই ছবিই ফুটে উঠল ধর্মতলা চত্বরে। বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি কলকাতা পুরসভা। ঝাঁটা, ছোট ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে সাফাই অভিযানে নেমে পড়েন পুর𓄧কর্মীরা। আর তাঁদের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবকরা।
এদিকে ‘টিম কলকাতা পুরসভা’ যে কাজ করে দেখাল তাতে তাক লেগে গেল শহরের মানুষজনের। আবার বিরোধীদের পরিকল্পনায় জল পড়ল। এই দ্রুততার সঙ্গে শহর পরিষ্কার করার বিষয়ে মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘সভা শেষ হতেই ১০০ দিনের কর্মীরা সাফাইয়ের কাজ শুরু করেন। প্লাস্টিকের প্যাকেট, জলের বোতল–সহ যাবতীয় আবর্জনা পৃথকীকরণের কাজ শেষ করে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে সে সব ধাপায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।’ꦐ গোটা 𒆙কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রো চ্যানেলে দাঁড়িয়ে তদারকি করেন কলকাতা পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার। পুরসভার সামনে দাঁড়িয়ে এই কাজ পরিচালনা করেন বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার।
অন্যদিকে দ্রুত এই ℱজঞ্জাল সাফাই করার কাজে নামানো হয় মেকানিক্যাল সুইপার, হ্যান্ডকাট মেশিন, ব্যাটারিচালিত গাড়ি এবং ওয়াটার স্প্রিঙ্কলার। প্রতি বছরের মতো এবারও একুশে জুলাইয়ের সভার চারদিক পরিষ্কার করতে ব্যাটারিচালিত গাড়ির বন্দোবস্ত করা হয়। দেড়শোর উপর ময়লা ফেলার কন্টেনার রাখা ছিল একুশে জুলাইয়ের সভা চত্বরে। তারপরও দেখা যায় রাস্তায় রয়েছে আবর্জনা। অনেকেই পথে রান্না করেছেন। কেউ খাবার বিলি করেছেন। অনেকে ত্রিপ💙ল খাটিয়ে সেই খাবার পাত পেড়ে খেয়েছেন। যার জেরে ধর্মতলা–সহ শহরের অন্যান্য রাস্তাতেও বর্জ্য জমেছিল। সে সবও সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে সাফ করে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: প্রস্তুতি সেরে রাখল বিধানসভা, রাত পোহালেই চার বি♈ধায়কের শপথ হতে চলেছে
এছাড়া ৩০০ জন সাফাই কর্মীকে নামিয়ে এই কাজ করা হয়। মেট্রো চ্যানেল, চৌরঙ্গি, এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি, পার্ক স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, এজেসি বোস রোড এবং আরও কয়েকটি রাস্তা আধ ঘণ্টার মধ্যে সাফ করে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। শ্যামবাজার, ময়দান, আলিপুর চিড়িয়াখানা ও অন্যান্য পার্কগুলিতে সাফাই কাজ চলে জোরকদমে। কঠিন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভ𓂃াগের এক অফিসারের বক্তব্য, ‘প্লাস্টিকের প্যাকেট সরানো না হলে নিকাশি নালার মুখ আটকে জল জমার আশঙ্কা থাকে। তাই𝓰 বাড়তি লোকও রাখা হয়েছিল।’