তাঁর সঙ্গে মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে সে দেওয়াল যে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে সেটা দেখা করার পর জানিয়েছিলেন তাঁর বান্ধবী। এখন তাঁরা ইন্দোরে বেড়াতে গিয়েছেন। অথচ আজ, শুক্রবার জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো রুটের উদ্বোধনের সময় তাঁর নাম নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হ্যাঁ, তিনি শোভন চট্টোপাধ্যায়। এখন বান্ধবী বৈশাখীকে নিয়ে ইন্দোর বেড়াতে গিয়েছেন। রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তবে ফিরে আসার জন্য নবান্নে গিয়ে দেখা করে এসেছেন সম্প্রতি। তার মধ্যেই মেঘ না চাইতেই জলের মতো তাঁকে প্রাসঙ্গিক করে তুললেন𒆙 দিদি। তাতেই আপ্লুত ভাই কানন।
এদিন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন হয় নয়া মেট্রো রুটের। হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লি থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বꦡোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জমি জোগড়ে শোভনের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। আর কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাক🥀িমের সঙ্গে এক বন্ধনীতে উচ্চারণ করেন শোভনের নাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের যেভাবে ভূয়সী প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে অনেকেই মনে করছেন রাজনৈতিকভাবে গুরুত্ব বাড়ল শোভনের।
এদিকে মমতা তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘মেট্রোর ওই প্রকল্পের জন্য জ🌳মির সংস্থান করতে কলকাতা পুরসভার তৎকালীন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ🍸 ভূমিকা নিয়েছিলেন। তারাতলা ও জোকা স্টেশনের জন্য জমির ব্যবস্থা করতে শোভনের পাশাপাশি পরে রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদও সক্রিয় ছিলেন। সে সময় শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রকল্পের সমস্ত জমির সংস্থান করেছিলেন। আজ তাই তাঁকে ধন্যবাদ দিতেই হবে।’ শোভন এখন তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইন্দোরে বেড়🅰াতে গিয়েছেন। সেখানে বসেই জেনেছেন, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম নিয়েছেন। যা নিয়ে আপ্লুত শোভন।
অন্যদিকে এই কথা ꦕজানতে পেরে সংবাদমাধ্যমে শোভন বলেন, ‘২০০৯ সালে রেলমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলকে দিয়ে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। তখন রাজ্য সরকারে তৃণমূল কংগ্রেস নেই। আবার মমতাদিও জোর করে চাষিদের থেকে জমি নেবেন না। তখন আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মমতাদি আমায় যখন যা নির্দেশ দিয়েছেন, আমি করেছি। দিদি যে আমার কথা মনে রেখেছেন, এটাই আমার কাছে গর্বের, অহংকারের।’