কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল। শুধু কলকাতা শহর নয়, গোটা বাংলার প্রত্য়ন্ত এলাকা থেকে রোগীরা এখানে আসেন চিকিৎসার জন্য। আর সেখানে বেডের টানাটানি লেগেই থাকে। আর সেই পরিস্থিতিতে এবার সামনে এল সেই বেডের দালাল꧙রাজ। সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা পেতেও দালালদের দিতে হয় মোটা টাকা। ঠিক কেমন ব্যাপারটা?
অভিযোগ প্রত্য়ন্ত গ্রাম থেকে অনেকের রোগী নিয়ে আসেন এসএসকেএমে। কিন্তু বেড পেতে প্রাণান্তকর অবস্থা হয় তাদের অনেকের। ভর্তি হওয়ারও নানা হ্যাপা। আর সেই সময়তেই সামনে আসেন সেই সাহায্যকারীর দল। যারা মোটা টাকার বিনিময়ে সরকারি হাসপাতালের নানা সুবিধা আপনার সামনে হাজির করে। আর তারপরেই কোথায় যেন মিলিয়ে যায় সেই সাহায্যকারী। আর সবটাই চলে মোটা টাকার বিনিময়ে। বছরের পর বছর ধরে এই বেআইনী লেনদেন চলছে সরকারি হাসপাতালের অন্দরে। সেখানে সরকারি হাসপাতালের বেডের দাম ওঠে ৩৫𒐪 হাজার টাকা পর্যন্ত।
সরকারি হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পেতে চান? সেজন্য় আপনাকে খরচ করতে হতে পারে ১৬ হাজার টাকা। সেই রেট নিয়ে দরাদরিও চলে পুরোদমে। যার থেকে যেমন পারে টাকার দাবি। রাত বিরেতে এসে চিকিৎসা পাচ্ছেন না? তার জন্যও হাজির দালালꦜরা। মোটা টাকা ফেললেই মিলবে পরিষেবা।
সম্প্রতি গোয়েন্দা দফতর এনিয়ে হাসপাতাল চত্বরে খোঁজখবর শুরু করে। তারপর সেই দালাল চক্রের পর্দাফাঁস ꦡকরে পুলিশ। হাসপাতালের বেড পাওয়ার বিনিময়ে মোটা টাকার লেনদেন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপরই মেলে সরকারি সুবিধা।
সূত্রের খবর, এসএসকেএম ও এনআরএস হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ৩জন দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমসিএইচ থেকে ধরা হয়েছে চারজনকে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার মিলিয়ে এই অভিযান চালায়। তারা রোগীর পরিবারকে নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে মোটা টাকা আদায় করত বলে অভিযোগ।ಌ ফাঁদ পেতে তাদের ধরে ফেলে পুলিশ।
ন্যাশানাল 🎃মেডিক্যাল কলেজ ও আরজিকরেও অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। রোগীর পরিজন সেজে ফাঁদ পাতা হয়। তাতেই ধরা পড়েছে দালালরা। তবে এদের সঙ্গে হাসপাতালের কেউ জড়িত রয়েছে কি নღা সেটা দেখা হচ্ছে।
এক রোগীর পরিজনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নেমেছিল পুলিশ। তিনি তার মাকে ভর্তির জন্য় নিয়ে এসেছিলেন কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। কিন্তু তার কাছ ❀থেকে এক দালাল ১৬০০০ টাকা নেয়। এরপরই 💎সে গা ঢাকা দেয়। তার অভিযোগ পেয়েই গোয়েন্দা দফতর নড়েচড়ে বসে।