আজ, শুক্রবার রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিধানসভায় বাজেট পেশ করে তিনি শুরুতেই ঘোষণা করেন, আগামী চার বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১ কোটি টাকা সাহায্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। অর্থাৎ এই প্রকল্পে মহিলাদের হাতে যে টাকা পৌঁছচ্ছে তা অব্যাহত থাকবে।এই প্রকল্পে প্রতি মাসে মহিলারা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচ্ছেন। সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি–উপজাতিদের ১০০০ টাকা করেও দেওয়া হচ্ছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডও চালু হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পও চলছে রমরমিয়ে। আগামী এক বছরে সেই প্রকল্পের কাজ যাতে চলতে পারে সেটা বজায় রাখতেই এবারের বাজেটে ১ কোটি টাকার সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা পাঠ করে বাজেট পেশ শেষ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। তারপর অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই ইতিহাস তৈরি করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তিনি যে আমাকে বাজেট পেশ করার এই সুযোগ দিয়েছেন, সেটা আমার কাছে এমন এক মুহূর্ত বলে বোঝাতে পারব না। আমি তাঁকে শ্রদ্ধা জানাই।’এবারের বাজেটে ১২.৮২ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছে যাবে। চা–বাগানে কৃষি আয়ের উপর কর মকুব করা হচ্ছে। জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে বাজেটে। এদিন ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩০ কোটির রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।