আজ বাজেট পেশ করলেন রাজ্যের প্রথম মহিলা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে মহিলাদের জন্য যে বিশেষ কিছু অপেক্ষা করছে তা নিয়ে রাজ্যের মহিলারা আশাবাদী ছিলেন। অর্থমন্ত্রী মহিলাদের নানা প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছেন বাজেটে। বার্ধক্য পেনশন এবং প্রতিবন্ধী পেনশন ছাড়াও রাজ্য সরকার বিধবা পেনশন দেয়। এবারের বাজেটে সেই বিধবা ভাতায় বরাদ্দ বাড়ানোর কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও বরাদ্দ করা হয়েছে ১ কোটি টাকা।এখন ১৩ লক্ষেরও বেশি মহিলা বিধবা ভাতা পান। তার জন্য সরকারের খরচ হয় ১,৫৬০ কোটি টাকা। এই বিধবা পেনশন খাতে বরাদ্দ বেড়ে ২৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। বিধানসভায় বাজেট পেশ অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, আগামী চার বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। আর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১ কোটি টাকা সাহায্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে রাজ্য বাজেটে। এই প্রকল্প সম্পূর্ণ মহিলাদের। এই প্রকল্পে প্রতি মাসে মহিলারা নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাচ্ছেন। সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি–উপজাতিদের ১০০০ টাকা করেও দেওয়া হচ্ছে। এবারের বাজেটে ১২.৮২ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বাজেটে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্র পানীয় জল পৌঁছে যাবে। চা–বাগানে কৃষি আয়ের উপর কর মকুব করা হচ্ছে। জিএসটি ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে বাজেটে। এদিন ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৩০ কোটির রাজ্য বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।নারী এবং শিশু কল্যান প্রকল্পে ১৭.৫ গুণ বরাদ্দ বাড়ল। ১৯ হাজার ২৩৮ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এবারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মাধ্যমে আরও ৮ লক্ষ মহিলা বিধবা পেনশনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। সেই অতিরিক্ত ৮ লক্ষ বিধবা মহিলাকেই ২০২২ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই পেনশন দেওয়া হবে। যার ফলে মোট ২১ লক্ষ বিধবা মহিলা এই পেনশনের আওতায় আসবেন।