সরকারি হাসপাতাল নিয়ে বদনামের শেষ নেই। অনেকেই বলেন সেখানে নাকি চিকিৎসা যথাযথ হয় না। তবে তার ব্যতিক্রমও আছে। এনআরএস হাসপাতালে এবার কার্যত অসাধ্য সাধন করলেন চিকিৎসকরা। এক প্রৌঢ়ের দাঁত ভেঙে গিয়েছিল। সেই ভাঙা দাঁত আটকে গিয়েছিল ফুসফুসে। মহা সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ওই ব্যক্তি বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৫০ বছর। ২০১৯ সালে তাঁর দাঁত ভেঙে গিয়েছিল। সেই দাঁত ভেঙে গিয়ে তাঁর ফুসফুসে আটকে যায়। এদিকে ২০২৩ সালে ফের তাঁর একই ঘটনা হয়। আবার দাঁত ভেঙে তাঁর ফুসফুসে আটকে যায়। এর জেরে তাঁর মারাত্মক কাশি হচ্ছিল। তিনি কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলেন না। এদিকে অনেকেই যেভাবে দক্ষিণ ভারতের চিকিৎসাকেন্দ্রে যান সেভাবেই গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও ফুসফুস থেকে দাঁত বের করা সম্ভব হয়নি। এরপর ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু কষ্ট কিছুতেই কমছিল না। এরপর বাংলায় ফিরে আসার পরে তিনি এনআরএসে আসেন। সেখানে ব্রঙ্কোস্কপি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন এই দাঁত বের করতে হবে। না হলে ওই ব্যক্তির প্রাণ সংশয় হতে পারে। এদিকে দক্ষিণ ভারতের একাধিক হাসপাতালে ঘুরে আসেন তিনি। কিন্তু সেখানে তেমন কিছু হয়নি। চিকিৎসকরা এনআরএসে দেখেছিলেন তাঁর দাঁত দুটো বসে গিয়েছিল। এরপর তারপর তাকে অজ্ঞান করা হয়। এরপর ব্রঙ্কোস্কপি করে দাঁত বের করা হয়। এরপর স্বস্তি মেলে তাঁর। কারণ দাঁতের জেরে ফুসফুস বন্ধ হয়ে যেতে পারত। সেকারণে আর কোনও ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। তাঁরা দ্রুত দাঁতটি বের করে দেন। এদিকে সম্প্রতি বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার চিকিৎসকরা এক যুবকের পেট থেকে চাবির আংটি, ছোট ছুরি ও নোখ কাটার যন্ত্র সহ বেশ কিছু ধাতব বস্তু বের করেছেন।২২ বছর বয়সি ওই যুবককে কয়েকদিন আগে জেলা সদর মোতিহারির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবার।রবিবার অস্ত্রোপচার করে বস্তুগুলো বের করা হয়।অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসকদের দলের প্রধান ডাঃ অমিত কুমার বলেন, ওই যুবকের মানসিক চিকিৎসা চলছিল। এক্স-রে রিপোর্টে তার পেটে ধাতব বস্তুর উপস্থিতি পাওয়া যায়।প্রাথমিকভাবে অস্ত্রোপচারের সময় একটি চাবির রিং বের করে আনা হয়।পরে তার পেট থেকে দুটি চাবি, একটি চার ইঞ্চি লম্বা ছুরি ও দুটি নেল কাটার যন্ত্র বের করা হয়। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমরা ওই যুবককে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, সম্প্রতি সে ধাতব বস্তু গিলতে শুরু করেছে। এখন ওই যুবক সুস্থ আছেন এবং তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।ওই যুবকের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কিছু সমস্যা রয়েছে, যার জন্য তিনি ওষুধ খাচ্ছেন।