গরুপাচারকাণ্ডে কি ফের ইডির তলব এড়ালেন সুকন্যা মণ্ডল? সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে তাঁকে ইডির তরফে হাজিরা দিতে বলা হলেও বেলা দেড়টাতেও দেখা নেই তাঁর। ইডির দফতরে এদিন হাজিরা দেননি সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা ও যুব তৃণমূল নেতা কৃপাময় ঘোষ। ওদিকে সুকন্যা কোথায় রয়েছেন তা নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে।গত বুধবার সুকন্যাকে দিল্লির সদর দফতরে তলব করে ইডি। সূত্রের খবর, অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে তাঁর মেয়েকে জেরার পরিকল্পনা ছিল গোয়েন্দাদের। বর্তমানে দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত। কিন্তু বুধবার হাজিরা দেননি সুকন্যা। চিঠি পাঠিয়ে কয়েকদিন সময় চান। তার পর সুকন্যাকে ফের সোমবার তলব করে ইডি। এদিন বেলা ১১টার মধ্যে তাঁকে হাজির হতে বলা হয়। সঙ্গে সুকন্যার গাড়ির চালক তুফান মিদ্দা, যুব তৃণমূল নেতা কৃপাময় ঘোষকেও দিল্লি তলব করে ইডি। আসানসোল থেকে কলকাতার পথে শক্তিগড়ে জলখাবারের হোটেলে অনুব্রতর খাবার টেবিলে দেখা গিয়েছিল এই ২ ব্যক্তিকে। এছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির রাঁধুনি বিজয় রজককেও তলব করেছে ইডি।সোমবার ইডির তলবে এখনো পর্যন্ত হাজিরা দেননি সুকন্যা। তিনি হাজিরা দেবেন কি না তা নিয়ে কোনও তথ্য নেই কারও কাছে। এমনকী সুকন্যা কোথায় রয়েছেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বোলপুরের বাড়িতে নেই সুকন্যা। তিনি দিল্লি গিয়েছেন বলে কারও জানা নেই। তবে কি তিনি কলকাতায়?গত ৭ মার্চ গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। তার পর থেকে টানা ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ইডি সূত্রের খবর, এর আগে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়ে সুকন্যা জানিয়েছিলেন, তাঁর যাবতীয় লেনদেনের ব্যাপারে জানেন তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডল। যার ফলে সুকন্যা ও অনুব্রতকে মুখোমুখি বসানো একান্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।