দলবদলু বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে এবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিꦏকারী। তাঁর অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজে এবং চারাগাছ কেনাবেচায় কয়েক কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। গতকাল বিধানসভায় অবস্থান-বিক্ষোভে কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি।
বুধবার বিধানসভায় অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, ১০০ দিনের কাজে তৃণমূল ব্যাপকভাবে দুর্নীতি করেছে। আর সেইসঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। শুভেন্দু আরও বলেন, ১০০ দিনের কাজের জন্য ৪২ টাকার🍎 নারকেল গাছ আড়াইশো টাকায় রাজ্য সরকারকে তিনি বিক্রি করেছেন। সব মিলিয়ে ৩২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপশি, অন্যান্য জায়গাতেও ১ꦐ০০ দিনের কাজে রাজ্যে যেভাবে দুর্নীতি হয়েছে পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়কে তার হিসেব দিতে হবে বলেও শুভেন্দু দাবি জানান। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। এরপর গত বছরের জুলাই মাসে তিনি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর থেকেই কৃষ্ণ কল্যাণে বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন কৃষ্ণౠ কল্যাণী। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের কাছ থেকে যখন আমি এই কাজের বরাত পেয়েছিলাম তখন আমি বিজেপিতে ছিলাম।’ আর তাছাড়া কোনও নারকেল গাছ কেনাবেচা হয়নি বলেও তিনি দাবি জানান। যদিও বিজেপির পরিষদীয় দলের সদস্যরা কৃষ্ণ কল্যাণীর এই দাবি মানতে নারাজ তারা কল্যাণীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনড় রয়েছেন। ইতিমধ্যেই কৃষ্ণ কল্যাণীর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। এবার দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় অস্বস্তিতে রায়গঞ্জের বিধায়ক।