মুকুল রায় বিজেপ꧙ির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। তারপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে উত্তরীয় পড়েন। তখনই বিজেপি নেতারা দাবি করেন, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তার পর থেকে রায়সাহেব–কে নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। এবার আবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ করার দাবি নিয়ে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখন তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত শুভেন্দুকে ভর্ৎসনা করেছিল। আর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। তাই আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই বিষয়ে আবেদন জানালেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন শুভেন্দুর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ 🔯মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। আর জানানো হয়, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলাটি ‘রিলিজ’ হলে ডিভিশন বেঞ্চ শুনবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০২২ সালের ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ত্যাগ করে ঘাসফুলে🥃 প্রত্যাবর্তন কর🔯েন মুকুল রায়। তখন থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে কখনও স্পিকার, কখনও আদালতের দরজায় কড়া নেড়েছেন বিজেপি পরিষদীয় দল। কিন্তু তার মধ্যেই মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটꦐির (পিএসি) চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয়। তাতে আরও খাপ্পা হন বিজেপি বিধায়করা। আর পৃথক মামলাও সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়। তখনই শুভেন্দুকে কলকাতা෴ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে ‘পরামর্শ’ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।